• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
সারা দেশে প্রকোপ আরো বাড়বে

ঘন কুয়াশায় মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে গতকাল ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটে

ছবি : বাংলাদেশের খবর

আবহাওয়া

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ

সারা দেশে প্রকোপ আরো বাড়বে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮

দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। তিন দিন আগের শুরু হওয়া এই শৈত্যপ্রবাহ প্রথম দিকে মৃদু থেকে মাঝারি থাকলেও এখন রূপ নিয়েছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে। যার ফলে দেশের অনেক অঞ্চলই পড়েছে ভয়ানক শীতের কবলে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আজ রোববার ভোটের দিনও এমন আবহাওয়া থাকবে। হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করেই ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে ওইসব এলাকার ভোটারদের। আবহাওয়া অধিদফতর গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, রাজশাহী, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বাকি অংশসহ  ময়মনসিংহ, ঢাকা, গোপালঞ্জ, মাদারীপুর, বরিশাল বিভাগ ও সীতাকুণ্ড, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ফেনী ও শ্রীমঙ্গল অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।  এই মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহে দেশের বেশিরভাগ এলাকার তাপমাত্রা নেমে গেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। আবহাওয়া অধিদফতর শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া দফতরের পর্যবেক্ষক মোফাকখারুল ইসলাম জানান, শনিবার হঠাৎ করে তাপমাত্রা নিচে নেমে যায়, যা দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। এই অবস্থা আরো দুয়েক দিন বিরাজ করতে পারে। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাজশাহী ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এখন রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও  ঢাকা বিভাগের বেশিরভাগ জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে রয়েছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলে আমরা তাকে শৈত্যপ্রবাহ বলি। বাতাসের তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি ও তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির চেয়ে বেশি থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। দেশে এখন মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এই অবস্থা ভোটের দিনও বিরাজ করবে।

তিনি বলেন, ভোটের দিন ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে কুয়াশা থাকবে। যেখানে পানির উৎস কাছাকাছি বা গাছপালা বেশি সেখানে কুয়াশা বেশি পড়বে।

আবহাওয়া অধিদফতরের ডিসেম্বর মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুইটি মৃদু (০৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (০৬-০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এদিকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের আবহাওয়ার চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওই বছর ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে প্রায় সারা দেশে ছিল হাড়কাঁপানো শীত। ডিসেম্বরের শুরু থেকে শীত পড়তে শুরু করলেও তীব্রতা বাড়তে শুরু করে মাসের শেষার্ধে গিয়ে। শেষ সপ্তাহে শুরু হয় শৈত্যপ্রবাহ। সে বছর ২৭ ডিসেম্বর মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করে উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি হলো দেশের শীতলতম মাস। প্রতিবছর এই দুই মাসে শীতের তীব্রতা থাকাটাই স্বাভাবিক। এ সময় সূর্য আলো দেয় দিনে গড়ে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা। এর সঙ্গে ঘন কুয়াশা বাড়ায় শীতের অনুভূতি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads