• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
তীব্র শৈত্যপ্রবাহে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

শৈত্যপ্রবাহ

সংরক্ষিত ছবি

আবহাওয়া

তীব্র শৈত্যপ্রবাহে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০১ জানুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশে ৫০ বছরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙেছিল ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারির দিনটি। সেদিন হিমালয় কন্যাখ্যাত দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা করছেন এ বছর তাপমাত্রা অতটা নিচে না নামলেও চলমান শৈত্যপ্রবাহ এবারো হাড় কাঁপাবে ওই অঞ্চলসহ দেশের বেশিরভাগ এলাকার মানুষের। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, গত রোববার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা শুধু রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাই নয়, এই শীতের মৌসুমেরও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড এটি।

আবহাওয়া অধিদফতর গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার যে পূর্বাভাস দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, সেখানে এই শীতাবস্থা আরো কয়েক দিন বিরাজ করবে।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, দিন কয়েক আগে থেকে শুরু হওয়া শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। রোববার পঞ্চগড় অঞ্চলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং রংপুর বিভাগের বাকি অংশসহ ময়মনসিংহ বিভাগ ও টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সীতাকুণ্ড, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, নওগাঁ, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশাল অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের  শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় অব্যাহত থাকতে পারে। এই শৈত্যপ্রবাহের কারণে দেশের বেশিরভাগ এলাকার তাপমাত্রা নেমে গেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এখন রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের বেশিরভাগ জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে রয়েছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলে আমরা তাকে শৈত্যপ্রবাহ বলি। বাতাসের তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি ও তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির চেয়ে বেশি থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। দেশে এখন মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এই অবস্থা আরো কয়েক দিন বিরাজ করবে।

এ ছাড়া ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে কুয়াশা থাকবে। যেখানে পানির উৎস কাছাকাছি বা গাছপালা বেশি সেখানে কুয়াশা বেশি পড়বে।

আবহাওয়া অধিদফতরের ডিসেম্বর মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু (০৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (০৬-০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এদিকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের আবহাওয়ার চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওই বছর ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে প্রায় সারা দেশে ছিল হাড়কাঁপানো শীত। ডিসেম্বরের শুরু থেকে শীত পড়তে শুরু করলেও তীব্রতা বাড়তে শুরু করে মাসের শেষার্ধে গিয়ে। শেষ সপ্তাহে শুরু হয় শৈত্যপ্রবাহ। সে বছর ২৭ ডিসেম্বর মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করে উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি হলো দেশের শীতলতম মাস। প্রতিবছর এই দুই মাসে শীতের তীব্রতা থাকাটাই স্বাভাবিক। এ সময় সূর্য আলো দেয় দিনে গড়ে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা। এর সঙ্গে ঘন কুয়াশা বাড়ায় শীতের অনুভূতি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads