• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
শীতের দাপট নাগেশ্বরীতে

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে জেঁকে বসেছে শীত। প্রচন্ড ঠান্ডায় দূর্ভোগে পড়েছে নিন্ম আয়ের নদী তীরবর্তী মানুষ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

আবহাওয়া

শীতের দাপট নাগেশ্বরীতে

  • নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১০ জানুয়ারি ২০১৯

শীতের দাপট বেড়েছে উত্তরের উপজেলা নাগেশ্বরীতে। গেল ৪দিন থেকে নিচের দিকে নামছে তাপমাত্রার পারদ। আজ বৃহস্পতিবার সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮দশমিক ০ডিগ্রী সেলসিয়াস। গেল সোমবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৯ দশমিক ৩ডিগ্রী সেলসিয়াস। গত সপ্তাহে কুয়াশা না থাকলেও এখন ঘন হচ্ছে কুয়াশার চাদর। কুয়াশার বৃদ্ধির সাথে সাথে বইছে হিম বাতাস। ফলে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে এ উপজেলায়। বিকাল থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে তীব্র ঠান্ডা। চলতি সপ্তাহে শীতের তীব্রতা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অফিস।

এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে দূর্ভোগ। বিশেষ করে দূর্ভোগে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ, নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি, চরাঞ্চলের মানুষ ও গবাদীপশু। উপজেলার দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করা ৭০ভাগ মানুষ এ শীতে কাবু। এখন হরহামেশা চোখে পড়ছে গ্রাম অঞ্চল এবং ছিন্নমূল মানুষে খরকুটু জ্বালিয়ে নিজেদের শীত নিবারণের দৃশ্য।

শীতের কারণে কমে গেছে খেটে খাওয়া মানুষের কাজের ব্যাপ্তি। সময়মতো তারা কাজে যোগ দিতে পারছে না। সোনাহাট স্থল বন্দরের পাথর ভাঙ্গা শ্রমিক কেদার ইউনিয়নের বাবু, খয়বর, সাইফুল, নিরঞ্জন জানান, সকালে প্রচন্ড ঠান্ডা এবং কুয়াশা থাকায় তারা সময়মত কাজে যোগ দিতে পারছেনা। প্রতিদিন আটটায় কাজে যাওয়ার কথা থাকলেও এখন নয়টায় যোগ দিতে হচ্ছে। ফলে আয় কমে গেছে তাদের।

কচাকাটা ইউনিয়নের দিনমুজুর আহম্মদ আলী জানান, সকালে আগুন জ্বালিয়ে শীতনিবারণের চেষ্টা করেন। শীতের কারণে কাজ না থাকায় বেকার সময় পার করছেন কৃষি শ্রমিকরা। দুধকুমর নদীর চরাঞ্চল শৌলমারী গ্রামের বাসিন্দা মালেক মিয়া জানান, শীতের কারণে তাদের খুব কষ্ট বেড়ে গেছে। পাশাপাশি গবাদী পশু নিয়েও বিপদে আছেন তারা। নাগেশ্বরীর কৃষক রাজু আহম্মেদ জানান, শীতের কারণে আগাম জাতের ইরি-বোরো চাষ ব্যহত হচ্ছে। এদিকে বীজতলার বয়স বেড়ে হলুদ হয়ে যাচ্ছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক জাকির হোসেন জানান, আগামী সপ্তাহের দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads