তাপদাহ আর তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে উত্তরের জনজীবন। সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। বৃষ্টি না হওয়া আর প্রচন্ড রোদে ঘর থেকে বের হতে পারছে না শ্রমিক, দিন মজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলো। সামান্য স্বস্তি ও একটু শীতল পরিবেশের জন্য ছুটছে গাছের ছায়াতল এবং বিভিন্ন শরবত ও পানীয়ের দোকানে। আর এই তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বেশির ভাগ মানুষ। বিশেষ করে শিশুরা বিভিন্ন পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
রিকশাচালক ধলা মিয়া বলেন, প্রচন্ড গরম ও রোদের কারণে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। গরমের কারণে যাত্রীও মিলছে অল্প। তবুও পেটের দায়ে সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি।
রাজমিস্ত্রি রনি মিয়া বলেন, গরমে ঠিক মত কাজ করতে পারছি না। কাজের ফাঁকে একটু পর পর গাছের ছায়ায় গিয়ে বসছি।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, মঙ্গলবার রংপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই বিভাগের মধ্যে দিনাজপুর জেলার তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি।সর্বোচ্চ ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রংপুর পাইলট বেলুন পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইখলাস হোসেন মুঠোফোনে জানান, আপাতত রংপুর বিভাগে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে রাত্রের শেষ ভাগে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হতে পারে।আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে।