• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
তাপমাত্রা কমছে, বইছে শীতের বাতাস

সংগৃহীত ছবি

আবহাওয়া

তাপমাত্রা কমছে, বইছে শীতের বাতাস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ নভেম্বর ২০২০

সারা দেশে গত কয়েকদিনে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের হাওয়া বইছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। আবহাওয়া অফিস জানায়, গত তিন দিনে গড়ে ৫ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে। আগামী কয়েকদিনে আরো কিছুটা কমবে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

গত ২০ নভেম্বর যেখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়ায়  ১৫ দশমিক ৬,  সেখানে ২৩ নভেম্বর তা প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। গত সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রাজশাহী বিভাগের বদলগাছিতে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইভাবে ২০ নভেম্বর ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ১, ২৩ নভেম্বর তা কমে গিয়েছে ৫ ডিগ্রি, হয়েছে ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে ময়মনসিংহ বিভাগে কমেছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০ নভেম্বর ময়মনসিংহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০। ২৩ নভেম্বর তা কমে গিয়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চট্টগ্রামে কমেছে ৩ ডিগ্রি। ২০ নভেম্বর চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২৩ নভেম্বর তা কমে গিয়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেটে কমেছে ৪ ডিগ্রি, ২০ নভেম্বর সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৫, ২৩ নভেম্বর তা কমে গিয়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে কমেছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। ২০ নভেম্বর রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ২৩ নভেম্বর তা কমে গিয়ে হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুরে কমেছে ৫ ডিগ্রি, ২০ নভেম্বর রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ২৩ নভেম্বর তা কমে গিয়ে হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

খুলনায় কমেছে ৭ ডিগ্রি। ২০ নভেম্বর খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৫, ২৩ নভেম্বর তা কমে গিয়ে  হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বরিশালে কমেছে ৭ ডিগ্রি। ২০ নভেম্বর বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি, ২৩ নভেম্বর তা কমে গিয়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সাগরে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ তৈরি হয়েছে। এটি দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সারাদেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলাসহ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।

আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, নভেম্বর মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। এই মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসবে। তবে তাপমাত্রা খুব বেশি কমবে না। আর হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়বে।

আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, শীতের শুরুতে পুবালি ও উত্তরের শীতল বাতাসের মিলন স্বাভাবিক। শীতের মৌসুম শুরু হয়েছে। এখন আস্তে আস্তে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। কদিন আগে বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা দ্রুত কিছুটা কমে গেছে। তিনি বলেন, এই তাপমাত্রা খুব বেশি কমবে না নভেম্বরে। ডিসেম্বরে তাপমাত্রা অনেকটা কমে যাবে। সেই সময় এক বা দুটি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁওয়ের উপপরিচালক কৃষিবিদ আফতাব হোসেন জানান, হেমন্তে স্বাভাবিকভাবে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলার আবহাওয়ায় ঠান্ডা ভাব বিরাজ করে। উত্তরের হাওয়া না বইলেও ঝিরঝির বৃষ্টি শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়। তবে এবার হেমন্তেই শীতের তীব্রতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে সকাল আটটা পর্যন্ত কুয়াশা থাকে। আগামী তিন দিন রাতের এই তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে আরো কমতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, বর্ষা মৌসুম প্রস্থানের পর বায়ুপ্রবাহ দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম থেকে ধীরে ধীরে ঘুরতে থাকে। এই প্রক্রিয়া নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত চলে। শীত মৌসুম এলে বায়ু উত্তর-পশ্চিম থেকে প্রবাহিত হয়। কিন্তু মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ ধারা পুরোপুরি ঠিক না হলে পুবালি বায়ুর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমের বায়ুর সংমিশ্রণে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হয়ে থাকে। এমন পরিস্থিতি দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল ঘেঁষে হঠাৎ করে বাতাসের অবনমন ঘটে থাকে। বায়ু সামান্য কমে যায়। এ ছাড়া এই বাতাস ঊর্ধ্ব আকাশে গমনের ফলে যে মেঘমালা তৈরি হয় তাতে এ ধরনের বৃষ্টিপাতের পরিস্থিতি তৈরি করে থাকে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads