• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
আগামী সপ্তাহেই শৈত্যপ্রবাহের আভাস

সংগৃহীত ছবি

আবহাওয়া

আগামী সপ্তাহেই শৈত্যপ্রবাহের আভাস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ ডিসেম্বর ২০২০

রাজধানীসহ সারা দেশে বেড়েছে শীতের অনুভূতি। সূর্যেরও দেখা মিলছে না খুব একটা। আগামী দুদিন এ অবস্থা চলবে। এর মধ্যেই রোববার থেকে দেশে শুরু হবে শৈত্যপ্রবাহ। কমে যাবে রাতের তাপমাত্রা। আর মাসের শেষ দিকে আরো একটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেছেন, এখন দিনের তাপমাত্রা ও রাতের তাপমাত্রার মধ্যে যে পার্থক্য তা কমে এসেছে। এ কারণে তাপমাত্রা খুব না কমলেও শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। তবে তাপমাত্রা আসলে এখনো তেমন একটা কমেনি। আগামী সপ্তাহে বেশ খানিকটা কমে যাবে। ১৭ বা ১৮ তারিখের দিকে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ওই সময় সপ্তাহ খানেক দেশের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপবলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার ও এর আশপাশের এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়েছে। এর প্রভাবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্য এলাকায় মাঝারি থেকে হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।

বেশ কয়েক দিন ধরে সারা দেশেই কুয়াশার প্রভাব বেড়েছে। আর হিমেল বাতাসও বইছে। তবে, এটা শৈত্যপ্রবাহ নয়। এ ব্যাপারে কাওসার পারভিন বলেন, বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন একটি ঘূর্ণিঝড় প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প সঞ্চয় করেছে। যা বাতাসের মাধ্যমে দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল দিয়ে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। উত্তরের হিমালয় থেকে বাতাস দেশে প্রবেশ করায় দেশে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। বর্তমানে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় একই।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাওসার পারভিন কাওসার পারভিন বলেন, বর্তমানে দেশে হাল্কা থেকে মাঝারি আকারের কুয়াশা রয়েছে। আমরা এ অবস্থাকে কুয়াচ্ছন্ন অবস্থা বলি। আগামী রোববার থেকে এ অবস্থা কেটে যাবে এবং শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। এক্ষেত্রে দিনের বেলা সূর্যের আলো থাকবে। রাতের তাপমাত্রা আরো কমে যাবে। এ মাসের শেষের দিকে আরো একটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।

শীত মৌসুমের শুরুতে দেশের উত্তরাঞ্চলে অতিরিক্ত শীত অনুভূত হচ্ছে। ২০১৮ সালে কুড়িগ্রামে দেশের সর্বোনিম্ন দুই দশমিক এক ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। চলতি মৌসুমে এই হারে তাপমাত্রা হ্রাসের সম্ভাবনা আছে কিনা-এমন এক প্রশ্নের জবাবে কাওসার পারভিন বলেন, জানুয়ারিতে তাপমাত্রা কমে আসবে। তবে ২০১৮ সালের মতো রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা এখনো নেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads