• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

ছবিতে সম্পদের বৈষম্য

বিদেশ

বিশ্বের ৮২ শতাংশ সম্পদ ১ শতাংশ মানুষের হাতে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২২ জানুয়ারি ২০১৮

ধনী-গরিবের পার্থক্য দিন দিন প্রকটতর হচ্ছে। একদিকে মাত্র কয়েকজনের হাতে টাকার পাহাড়, অন্যদিকে জীবন-ধারণের জন্য ন্যুনতম অর্থ উপার্জনে অবিরত সময়-শ্রম দিয়ে যাচ্ছে শত শত কোটি লোক। অক্সফামের সর্বশেষ গবেষণায় আবারো এই নির্মম বাস্তবতার ভয়াবহ রূপটি উঠে এসেছে। সংস্থাটির সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের ১ শতাংশ লোকের হাতে রয়েছে মোট সম্পদের ৮২ শতাংশ।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থাটি জানিয়েছে, ধনীরা যখন তাদের সম্পদ বাড়িয়ে চলছে তখন অপরপ্রান্তে বিরাজ করছে ভয়াবহ অবস্থা। বিগত ১২ মাসে ধনীদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৭৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অপরদিকে বর্তমানে বিশ্বের ৫০ শতাংশ লোকের হাতে কোনো গচ্ছিত সম্পদ নেই। দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে ৩৭০ কোটি লোক।

সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ৪২ ব্যক্তির হাতে বিশ্বের অর্ধেক লোকের সম্পদের সমপরিমাণ রয়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৬১। এর আগে অবশ্য এই সংখ্যা মাত্র আটজন বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি। এবার তা সংশোধন করা হয়।

ধনী-গরিবের এই পার্থক্য প্রকট হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ উদঘাটন করেছে অক্সফাম। তাদের মতে, কর ফাঁকি, নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভাব, কর্মীদের অধিকার লঙ্ঘন এবং ব্যয় সংকোচন (জনসাধারণের পেছনে) এই বিশাল বৈষম্য তৈরি করছে।

অক্সফামের প্রধান নির্বাহী মার্ক গোল্ডরিং বলেছেন, প্রতিবেদনটি বর্তমান সময়ে পাওয়া সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতির দিকে নজর দিলেই বুঝা যায়, বৈষম্যের (অর্থনৈতিক) মাত্রা অগ্রহণযোগ্য পর্যায়ে চলে গেছে।’

সংস্থাটি বলেছে, বৈষম্যের মাত্রা এভাবেই চলতে থাকলে ২০৩০ সালে বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষের প্রত্যেকের দৈনিক জীবন-যাত্রার ব্যয় থাকবে ১ দশমিক ৯০ মার্কিন ডলারেরও নিচে। যা বিশ্বে দারিদ্র্য সঙ্কট আরো প্রকট করে তুলবে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে সোমবার বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছর ধরে নিয়মিত এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে অক্সফাম। ২০১৭ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও ধনী-গরিবের এই বিশাল বৈষম্যের বিষয়টি উঠে এসেছিল।

ফোর্বস ও ক্রেডিট সুসি গ্লোবাল ওয়েলথ ডেটাবুকের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে অক্সফাম। প্রতিবেদন তৈরিতে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত সম্পদের (জমি ও অন্যান্য বস্তুগত সম্পদ) পরিমাণ থেকে তার দেনা বাদ দেওয়া হয়। এতে ব্যক্তির আয়কে গণনায় আনা হয় না।

অনেকেই অক্সফামের এই নীতিমালার সমালোচনা করেন। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, একজন ছাত্রের অনেক দায় থাকতে পারে, কিন্তু ভবিষ্যতে তার অর্থ উপার্জনের সম্ভাবনা অনেক বেশি। তারপরও অক্সফামের দৃষ্টিকোণ থেকে ওই ছাত্র গরিব হিসেবেই বিবেচিত হবেন।

বিশ্লেষকদের এই সমালোচনার জবাবে অক্সফাম বলেছে, যদি বিশ্বের অর্ধেক গরিবদের নিট দেনার পরিমাণ তার সম্পদের সঙ্গে যুক্ত করা হয় তবুও এই চিত্রের তেমন একটা হেরফের হবে না। এক্ষেত্রে তাদের সম্পদের পরিমাণ হবে ১২৮ জন বিলিওনিয়ারের সম্পদের সমান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads