• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

বিদেশ

কিম-পিংয়ের বৈঠকে চ্যালেঞ্জের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৯ মার্চ ২০১৮

সি চিন পিংয়ের সঙ্গে কিম জং উনের গোপন বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রকে বুঝিয়ে দিলো যে, বেজিংয়ের মধ্যস্থতা ছাড়া আপাতত কোনও কূটনৈতিক পদক্ষেপ করতে চায় না উত্তর কোরিয়া। আর এই বৈঠকের ফলে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লো যুক্তরাষ্ট্র। কারণ এই বৈঠকের পর ওয়াশিংটনের কাছে পরিষ্কার যে, পিয়ংইয়ংকে নিঃসঙ্গ ভাবা ঠিক নয়। বেইজিং বন্ধু হিসেবে তার পাশে আছে। তাই এখন আর উত্তর কোরিয়ার ওপর একচেটিয়া কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া সহজ হবে না। দু’দিন ধরেই জল্পনা-কল্পনা চলছিল যে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কি সত্যিই বেজিং সফরে গিয়েছিলেন? শেষ পর্যন্ত এই গুঞ্জনের সত্যতা মিললো বুধবার। জানা গেল এই ‘বেসরকারি’ সফরের খবর একশো শতাংশ সত্যি।

খবরের সমর্থনে বেজিংয়ে দুই রাষ্ট্রনায়কের একাধিক ছবিও বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে চীন এবং উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম। সেই সব ছবিতে সস্ত্রীক হাসিমুখের দুই নেতাকে দেখা যাচ্ছে। কোনোটায় আবার মধ্যাহ্নভোজের টেবিলে খোশগল্প করছেন, কখনও বা তাঁদের হাতে ওয়াইনের গ্লাস। বিবিসি জানায়, আলোচনার বিষয় নিয়ে সবিস্তার কিছু জানানো না-হলেও বেইজিংয়ের দাবি, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে কিম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন।

কিন্তু কূটনীতি বিশ্লেষকদের মতে, কিমের এই সফরে সৌহার্দ্য-সৌজন্যের নেপথে আসলে স্পষ্ট কূটনৈতিক চাল লুকিয়ে রয়েছে। ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টার গবেষণা কেন্দ্রের জিন এইচ লি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া খুব সতর্ক ভাবে পা ফেলতে শুরু করেছে। তারা ভালই বুঝতে পারছে যে, তাদের এই কূটনৈতিক যাত্রা তখনই সফল হবে যখন বেইজিং তাদের পাশে থাকবে।’ আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া এবং তার কয়েক দিন পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের বৈঠক হওয়ার কথা। লি’র মতে, ‘ওয়াশিংটন বা পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার আগে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে কিম আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে বুঝিয়ে দিলেন যে, বেইজিং তাঁর কত বড় বন্ধু!’

যদিও পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে বেজিংয়ের সম্পর্ক অতীতে ভাল ছিল না। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে কাকা জান-সং ঠেক-এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহের অভিযোগ এনে তাঁকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিলেন কিম। ঠেক নাকি চীনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কিমকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছিলেন। এরপর ২০১৬ সালে চীনে জি-২০ শীর্ষবৈঠক চলাকালীন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেন কিম। এমনকি, ২০১৭ সালে কিমের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য পিয়ংইয়ংয়ে বিশেষ দূত পাঠিয়েছিলেন সি। কিন্তু সেই বিশেষ দূতের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান কিম।

কিম-সি বৈঠক নিয়ে টুইট করেছেন ট্রাম্প। ওই টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘কাল রাতে সি আমাকে বললেন, কিমের সঙ্গে তাঁর বৈঠক ভালই হয়েছে। কিম তাঁকে জানিয়েছেন যে, আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads