• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে সূর্যরশ্মি শীতল প্রকল্প

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৫ এপ্রিল ২০১৮

সূর্যরশ্মি নিয়ন্ত্রণ করে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর গবেষকরা একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একটি মানবনির্মিত কেমিক্যাল ছাতার মাধ্যমে বৈশ্বিক তাপমাত্রার ক্ষতির ঝুঁকি অনেকটা কমানোর আশা করছেন গবেষকরা। ‘সোলার জিও ইঞ্জিনিয়ারিং’র মাধ্যমে গবেষকরা আগ্নেয়গিরির উদ্গিরণে সৃষ্ট ছাইয়ের বলয়ের মতো একটি কৃত্রিম বলয় তৈরি করবেন যা সূর্যের রশ্মিকে ঠান্ডা করবে। যদিও বর্তমানে এই প্রযুক্তি বিশ্বের ধনী দেশগুলো এবং হার্ভার্ড ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো প্রতিষ্ঠানের কাছেই আছে শুধু।

ভারত, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, থাইল্যান্ড, ইথিওপিয়া, জ্যামাইকা এবং চীনের ১২ গবেষক বুধবার ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানান, বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলো বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রশ্নে অধিক ঝুঁকিপ্রবণ এবং আরো দেশের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসা উচিত বলেও তারা মনে করেন। এ ছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অবশ্যই সোলার জিও ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষণায় নেতৃত্ব দিতে হবে বলেও গবেষণায় উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের প্রধান গবেষক আতিক রহমান রয়টার্সকে জানান, সোলার জিও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পুরো পরিকল্পনা কিছুটা পাগলাটে কিন্তু এটা ক্রমশ গবেষণার জগতের কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে।

এই গোটা প্রকল্পটির অর্থায়ন করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সহকারী প্রতিষ্ঠাতা ডাস্টিন মসকোভিজ এবং তার স্ত্রী কারি টুনা। তারা এই প্রকল্পের পেছনে চার লাখ ডলার ব্যয় করেছেন ইতোমধ্যে। এর ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিজ্ঞানীরা আঞ্চলিক খরা, বন্যা এবং মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাব সম্পর্কে আরো বিস্তারিত কাজ করতে পারছে বলে জানান সোলার র্যাডিয়েশন ম্যানেজমেন্ট গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভের প্রকল্প পরিচালক অ্যান্ডি পার্কার।

গবেষক আতিক রহমানের মতে, জিও ইঞ্জিনিয়ারিং যেভাবে কাজ করে তার পক্ষাবলম্বন করছেন না বিশ্বের মূলধারার প্রাতিষ্ঠানিক গবেষকরা। তিনি আরো বলেন, এই প্রযুক্তিটি বিতর্কিত এবং ঠিক আছে। এর ফলে কী হতে পারে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এটা খুব সাহায্যকারীও হতে পারে আবার খুব ক্ষতিকরও হতে পারে।

জাতিসংঘের জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের করা একটি নথি সম্প্রতি ফাঁস হয়। সেই নথিতে দেখা যায়, জাতিসংঘের গবেষকরা সোলার জিও ইঞ্জিনিয়ারিংকে এড়িয়ে যেতে চাইছেন এবং এই প্রকল্পকে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অসাধ্য বলছেন। এই প্রকল্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে জলবায়ুতে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে এবং এটা শুরু হলে বন্ধ করা যাবে না বলেও ওই নথিতে বলা হয়। যদিও রহমানের মতে, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো অনেক চেষ্টা করেও গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ ঠেকাতে পারেনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads