• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

আসাদ বাহিনীকে গোপনে বিমান সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়া

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৭ এপ্রিল ২০১৮

রাশিয়ার রোস্তভ বিমানবন্দর। ১৩০ জনের একটি দল অপেক্ষা করছে।  অথচ তারা জানেন না ফ্লাইট নাম্বার ও গন্তব্য। সবাই পরনে সেনা পোশাক।  বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা হতেই জিজ্ঞেস করা হয় তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে।

তাদের মধ্যে একজন জানান, ‘আমাদের একটি কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে।  এছাড়া আর কিছু বলার অনুমতি নেই। যেকোনো সময় বস চলে আসতে পারে।  তখন আপনিসহ আমরা সবাই বিপদে পড়বো।’

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে আসা সদ্য ফ্লাইট এ-৩২০ বিমানটি তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। ফেরত আসা বিমানে রয়েছে আরও প্রায় ৩০ জনের মতো যাত্রী যাদের চেহারা ছিল অনেকটাই রুগ্ন। ফেরত আসা যাত্রীদের পরনে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর পোশাক।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই লোকগুলো ছিল রাশিয়ার সেনাবাহিনীর যারা বাশার আল আসাদকে গোপন এক বিমান সহায়তা দেওয়ার জন্য নিয়োজিত রয়েছে। রোস্তভ বিমানবন্দরের এই ফ্লাইটগুলোর নথি কোথাও সংরক্ষিত নেই। সেগুলো পরিচালিত হয়ে আসছিল সিরিয়ার চেম উইংসের মাধ্যমে। চেম উইংসের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে মার্কিন সরকার অবরোধ আরোপ করেছিল। অভিযোগ ছিল আসাদ বাহিনীকে সহায়তা করতে গোপনে সামরিক সরঞ্জাম বহন করা হতো সেই বিমানে। ফ্লাইটগুলো সবসময় গভীর রাতে রওনা দিত এবং অন্য কোনো বিমানবন্দরে দেখা যেত না। হয় দামেস্ক অথবা লতাকিয়া থেকে ছেড়ে যেত বিমানগুলো।

আসাদকে রাশিয়ার সামরিক সহয়তার একটি মাধ্যম এই পদ্ধতি। যদিও ক্রেমলিন বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে।  মস্কোর দাবি, তারা সিরিয়াকে স্বল্প সংখ্যক এবং বিমান সহায়তা দিয়ে আসছে। খবরে বলা হয়, এ গোপন ফ্লাইটগুলোর ব্যাপারে রাশিয়া ও সিরীয় সরকারের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এই ফ্লাইটগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো না হলেও ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডাটাবেজে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারির ৫ তারিখ হতে চলতি বছরের মার্চে ১১ তারিখ পর্যন্ত দেখা গেছে চেম উইংয়ের বিমানগুলো রোস্তভ বিমানবন্দর থেকে সিরিয়ায় এ পর্যন্ত ৫১ বার চলাচল করেছে।  প্রতিবারই এ-৩২০ বিমানটি ব্যবহার করা হয়েছে যা প্রায় ১৮০ জনের মতো যাত্রী বহন করতে সক্ষম।

রাশিয়ার সেনাদের বন্ধু ও আত্মীয় স্বজনদের সন্দেহ, এ কাজে রাশিয়া প্রাইভেট ফ্লাইট ব্যবহার করছে বেশি। এর ফলে তাদের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যায়। কারণ রণক্ষেত্রে মারা যাওয়া সৈনিকের সংখ্যাটা গোপন থাকে এতে। রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, যুদ্ধে রাশিয়া যোগ দেয় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে। এখন পর্যন্ত তাদের মাত্র ৪৪ জন সেনাবাহিনী মারা গেছে এই যুদ্ধে।

বিদ্রোহীদের দমন করতে আসাদসহ তার মিত্র রাশিয়া, ইরান এবং হিজবুল্লাহ জঙ্গিদের প্রয়োজন বিমানের যেগুলো দিয়ে তারা রশদ ও সেনাবাহিনী পরিবহন করতে পারবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads