• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

রিপাবলিকান ছাড়ছে বয়স্ক, শিক্ষিত ও শেতাঙ্গরা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১০ এপ্রিল ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে সহায়তা করেছিল দেশটির বয়স্ক, শিক্ষিত এবং শেতাঙ্গ ভোটাররা। কিন্তু এখন ওই ভোটাররাই রিপাবলিকান শিবির ছেড়ে দলে দলে ডেমোক্র্যাট শিবিরে ভিড় করছেন বলে রয়টার্সের এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। রয়টার্স/ইপসস জনমত জরিপের ফলাফলে জানা যায়, বর্তমানে দেশব্যাপী ৬০ বছর বয়সের অধিক কলেজ শিক্ষায় শিক্ষিত শেতাঙ্গরা রিপাবলিকানদের তুলনায় ডেমোক্র্যাটদের পছন্দ করছেন বেশি। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের জনমত জরিপের ওপর নির্ভর করে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০১৬ সালের একই সময় এই একই শ্রেণি কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের সমর্থন দিয়েছিল।

আগামী নভেম্বরে আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনে দেশটির বয়স্ক, শিক্ষিত এবং বিশেষত শেতাঙ্গরা রিপাবলিকানদের চেয়ে ডেমোক্র্যাটদের দিকে ঝুঁকবে এমন সম্ভাবনা প্রবল। জনমত জরিপ অনুসারে, গত দুই বছরে ডেমোক্র্যাটরা রিপাবলিকানদের তুলনায় ১২ পয়েন্টে এগিয়েছে। একই ধারা অব্যাহত থাকলে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে ট্রাম্পের দল। সম্ভবত নভেম্বরের নির্বাচনে সিনেটেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে রিপাবলিকানরা।

ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষক ল্যারি সাবাতো জানান, ‘রিপাবলিকানদের মূল শক্তিই শেতাঙ্গ ও বয়স্ক শেতাঙ্গরা। তারা এই শক্তি হারালে তাদের ওপর দিয়ে সুনামি বয়ে যাবে। এই ধারাবাহিকতা নভেম্বর পর্যন্ত চললে তারা স্রেফ টোস্ট হয়ে যাবে।’ নিক্সনের আমল থেকে রিপাবলিকান শিবিরে থাকা ৬৩ বছর বয়সী জন ক্যাম নভেম্বরের কংগ্রেস নির্বাচনে ডেমোক্র্যটদের ভোট দেবেন। জাতীয় স্বাস্থ্য ও আয়কর নীতির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান রন্না ম্যাকদানিয়েল মনে করেন, তাদের পার্টি উল্লেখযোগ্য রাজ্যগুলোয় শক্তিশালী ক্যাম্পেইন করবে এবং ফান্ডরাইজিংয়ের চেষ্টা করবে। এ ছাড়া তিনি বলেন, ‘মঞ্জুরি ছাড়া আমরা একটা ভোটও গ্রহণ করছি না।’

শিক্ষিতরা সবসময়ই নির্ভরযোগ্য ভোটার। নির্বাচন সন্নিকটে যেসব অঞ্চলে সেখানে এই শিক্ষিত ভোটাররা ইতোমধ্যেই ডেমোক্র্যাট শিবিরে আনাগোনা করছেন। মোট ২৬টি ডিস্ট্রিক্ট রয়েছে যেখানে ডেমোক্র্যাটদের জেতার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানকার ৫ থেকে ১০ শতাংশ শিক্ষিত বয়স্ক ভোটাররা ইতোমধ্যেই রিপাবলিকান শিবির ত্যাগ করেছেন। আর হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের নিয়ন্ত্রণ পেতে ডেমোক্র্যাটদের দরকার হবে ২৪টি আসনে জয়লাভ। নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ডেমোক্র্যাট শিবির বিজ্ঞাপন প্রচার করতে শুরু করেছে। আর সেই বিজ্ঞাপনগুলোয় কৌশলে বয়স্ক এবং শিক্ষিত ভোটারদের টার্গেট করা হচ্ছে। আরিজোনা, পেনসিলভানিয়া এবং ওহিওতেই বিজ্ঞাপনের জন্য ইতোমধ্যেই ৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ডেমোক্র্যাট শিবির।

ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে সবচেয়ে বড় ফান্ডরাইজিং গ্রুপ ইউএসএ অ্যাকশন রিপাবলিকানদের আয়কর নীতিমালার বিষয়টি সামনে এনে প্রচারণা চালাচ্ছে। ইন্ডিয়ানা এবং প্রিটোরিয়ায় তাদের প্রচারিত বিজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে, ‘মেডিকেয়ার থেকেও কর নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’ আর বিজ্ঞাপনে থাকা এমন লাইন স্বাভাবিকভাবেই বয়স্কদের চিন্তিত করছে।

মন্টক্লেয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক গবেষক ব্রিজিদ হ্যারিসনের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ থেকে ৬৫ বছর বয়সী ভোটাররা মূলত হেলথকেয়ার নিয়ে চিন্তিত। কারণ তারা বেসরকারি স্বাস্থ্যবীমা প্রিমিয়ামের জন্য অধিক অর্থ ব্যয় করছেন এবং এখন পর্যন্ত তারা তেমন স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads