• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

বিদেশ

যুক্তরাজ্যে গৃহহীন মানুষের মৃত্যুহার দ্বিগুণ

  • প্রকাশিত ১২ এপ্রিল ২০১৮

যুক্তরাজ্যে গত সাত বছরের মধ্যে গৃহহীন মানুষের মৃত্যুহার বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এই বছর দেশটিতে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৫১ জনে, যা গত বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি। দ্য গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানী ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গৃহহীন এসব মানুষের মৃত্যুর গড় বয়স ৪৩ বছর। এটা ব্রিটিশ নাগরিকদের প্রত্যাশিত আয়ুর অর্ধেক। গৃহহীনদের সংখ্যা আশঙ্কাজন হারে বাড়ার পেছনে কল্যাণ তহবিল কাটছাঁট, সামাজিক আবাসনের অভাব ও দারিদ্র্য মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপের অভাবকে দায়ী করছে বিশেষজ্ঞরা।

বুধবার গার্ডিয়ানে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে গড় প্রতি সপ্তাহে অন্তত একজন গৃহহীন মানুষ মারা গেছে। বছর শেষের হিসেবে দেখা গেছে, ওই বছর ৭০ জন মানুষ মারা গেছেন। প্রাণ হারানো এমন মানুষের মধ্যে ৯০ শতাংশই পুরুষ। ২০১৭ সালের ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের গোড়ার দিকেও প্রায় শূন্য তাপমাত্রা ও ব্যাপক তুষারের দেখা মিলেছে। সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছর রাস্তায় বা অস্থায়ী আবাসে গৃহহীন মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা অন্তত ২৩। গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কোস অ্যামারেল গৌর্জেল নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর আলোচনায় আসে বিষয়টি। গুরুত্ব পায় সংবাদমাধ্যমের কাভারেজে। তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়ায় পার্লামেন্ট সংলগ্ন ওয়েস্টমিনস্টার আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনে তার মৃত্যু হয়।

গৃহহীন অনেক মানুষকেই শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা উপেক্ষা করে রাত কাটাতে হয় পার্ক কিংবা ফুটপাথে খোলা আকাশের নিচে। যুক্তরাজ্য সরকারের কোনো বিভাগ জাতীয় পর্যায়ে গৃহহীন মানুষের মৃত্যুর কোনো নথি লিপিবদ্ধ করে না। স্থানীয় কর্তৃপক্ষকেও এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা গণনা করতে হয় না। হোমলেস চ্যারিটি ক্রাইসিস নামক দাতব্য সংস্থার সঙ্গে যুক্ত আছেন ম্যাথিউ ডোনি। দ্য গার্ডিয়ানকে তিনি বলেন, গৃহহীন মানুষের এমন মৃত্যু তাদের বিপন্নতাকে মনে করিয়ে দেয়। এটা একটা ভয়াবহ ব্যাপার। প্রতিবছর এটা বহু জীবন কেড়ে নেয়।

ম্যাথিউ ডোনি বলেন, তাপমাত্রা কমে যাওয়া, অসুস্থ হওয়া, সহিংসতা বেড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে গৃহহীন মানুষের মৃত্যুহার বেড়েছে। এ ধরনের মানুষের সহিংসতার শিকার হওয়ার আশঙ্কা ১৭ গুণ বেশি থাকে বলে তিনি জানান। দ্বিতীয়ত, সংক্রমণ থেকে তাদের মৃত্যুর শঙ্কা বেশি থাকে। অন্যদের তুলনায় তাদের আত্মহননের হার নয় শতাংশের মতো বেশি। যুক্তরাজ্যের আবাসন, কমিউনিটিজ ও স্থানীয় সরকার বিভাগে নিজেদের এই অনুসন্ধানের ফলাফল পাঠিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, আমরা জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছি। এ সঙ্কট উত্তরণে আমরা ১ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করছি। এ সপ্তাহের শুরুতেই বহুল প্রতীক্ষিত হোমলেস রিডাকশন অ্যাক্ট কার্যকর হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads