• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

ক্ষমতাধর দেশগুলোকে সতর্ক করল গুতেরেস

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৩ এপ্রিল ২০১৮

সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলাকে কেন্দ্র করে পরস্পরের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়া ক্ষমতাধর দেশগুলোকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকি চলতে থাকলে সময় ফুরাবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে সতর্ক করে সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। খবর বিবিসি।

ক্ষেপণাস্ত্র আসছে বলে রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুশিয়ারির পর এমন সাবধান বাণী দিল জাতিসংঘ। এদিকে সিরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা ব্যবস্থার বিরোধিতাকারী দেশগুলো স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডেকেছে। অন্যদিকে ব্রিটেনও মন্ত্রিপরিষদের জরুরি বৈঠক ডেকেছে।

গুতেরেস বলেন, সিরিয়া ইস্যুতে ক্ষমতাধর দেশগুলো এভাবে পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকি চালিয়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। সিরিয়া সঙ্কট নিরসনে নিরাপত্তা পরিষদ বুধবারও কোনো কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি এ সতর্কতা দেন। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় তা নিশ্চিত করতে আমি নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশের দূতদের ডেকেছি।

গত ৭ এপ্রিল সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহর দৌমায় রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ হামলার ঘটনায় সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভা এবং সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামলার প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অঙ্গীকার করেন। ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থানের সমালোচনা করে পাল্টা হুমকি দেয় রাশিয়া ও ইরান। বলা হয়, সিরিয়ায় হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্রকে ভয়াবহ পরিণতি বরণ করতে হবে। তাদেরও এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। এরপর দিনও ট্রাম্প সিরিয়ায় সামরিক হামলা চালানোর ইঙ্গিত দেন। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মিত্র রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেন,  ক্ষেপণাস্ত্র আসছে, প্রস্তুত হও।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও রাসায়নিক হামলার নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। হামলার তদন্ত দাবি করেছে ব্রিটেনও। এ ঘটনায় বাশার সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানিয়েছে আঙ্কারা। পশ্চিমা দুনিয়াকে এ ব্যাপারে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তবে সিরিয়ায় আদৌ রাসায়নিক হামলা হয়েছে কি না তা নিয়ে তদন্তের জন্য পরস্পরের উদ্যোগের বিরুদ্ধে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads