• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

ট্রাম্পের টুইট নিয়ে নতুন বিতর্ক

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৫ এপ্রিল ২০১৮

সিরিয়ার দামেস্ক ও তার আশেপাশের এলাকায় এখন শ্মশানের স্তব্ধতা। এর মধ্যেই টুইট করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘মিশন অ্যাকমপ্লিশড, আমরা জিতেছি।’ ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধ শুরু হতে না হতেই‘মিশন অ্যাকমপ্লিশড’ অর্থাত্‌ আভিযান সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে কথাটা বলে ঠকে গিয়েছিলেন তত্‌কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ।

ট্রাম্পের এই টুইটের পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়া। তীব্র ভাষায় আক্রমণ করা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। কেউ বলেন, ‘একটা জায়গাকে ধ্বংস করে দেওয়ার পর ‘মিশন অ্যাকমপ্লিশড’ কথাটা শুনতে কিন্তু ভাল লাগল না।’ কেউ আবার বলেছেন, ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হলে সেটা কিন্তু প্রহসন হয়ে দাঁড়ায়।’ নিজের দেশে সমালোচনা সত্ত্বেও হোয়াইট হাউস কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড়। জাতিসংঘে মার্কিন দূত নিক্কি হ্যালি জানিয়েছেন, সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের সরকার যদি সাধারণ মানুষজনের উপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ বন্ধ না করে, তবে ফের হামলা চালানো হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য দৌমা এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছেন আসাদের সরকার। যারা মারা গিয়েছেন, তাদের মধ্যে মহিলা ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। আসাদকে শিক্ষা দিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে এক যোগে সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানায় রাশিয়া।

আসাদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের কোনো প্রমাণ নেই বলে দাবি করে রাশিয়ার হুমকি, মার্কিন জোটের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ জানানো হবে। ভুল ধরিয়ে দিয়ে অনেকেই বলছেন, গণবিধ্বংসী অস্ত্র মজুতের অভিযোগে ইরাকে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন সিনিয়র বুশ। কিন্তু পরে প্রমাণ হয়েছিল যে, তাদের হাতে সে রকম কোনও গণবিধ্বংসী অস্ত্র ছিল না। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে ট্রাম্পও একই ভুল করে ফেললেন না তো? মার্কিন সোশ্যাল সাইটে কিন্ত ঘুরপাক খাচ্ছে এমনই প্রশ্ন। গোটা বিষয়টা নিয়ে মহাশক্তিধর দেশগুলো যেভাবে আড়াআড়ি দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে, তার মধ্যে বিপদের ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছে বিশেষজ্ঞমহল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads