• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

বিদেশ

সিরিয়া হামলায় ব্যবহৃত সমরাস্ত্র

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৬ এপ্রিল ২০১৮

রাসায়নিক অস্ত্র হামলার অভিযোগে সিরিয়ায় গত শনিবার মধ্যরাতে আক্রমণ চালায় যুক্তরাষ্ট্র জোট। কী ধরনের অস্ত্র এ হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে এক নজরে দেখে নিই-

সিরিয়ার ওপর চালানো হামলায় অংশ নেয় চারটি ব্রিটিশ টর্নেডো ফাইটার জেট। এসব যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া হয় স্টর্ম শ্যাডো ক্রুজ মিসাইল। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, এই হামলায় টাইফুন ফাইটার জেটও ব্যবহার করা হয়েছে। দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট টর্নেডো জিআর৪ যুক্তরাজ্যের প্রধান স্থল হামলাকারী বিমানগুলোর মধ্যে একটি। এগুলোতে স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল যুক্ত করা থাকে। এই মিসাইলগুলো ৪০০ কেজি ওজনের হয় এবং ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে হানা দিতে পারে। অর্থাৎ এই মিসাইলগুলো ছোড়ার জন্য সিরিয়ার আকাশসীমায় পৌঁছানোর দরকার নেই। পেন্টাগন জানিয়েছে, ব্রিটিশ এই যুদ্ধবিমানগুলো থেকে আটটি স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল ছোড়া হয়। এ ছাড়া দুটি বি-১ বোমার ব্যবহার করেছে মার্কিন বাহিনী।

যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি সাবমেরিন সিরিয়া হামলায় অংশ নিয়েছিল। লোহিত সাগর থেকে স্থলে টমাহক ক্রুজ মিসাইল ছোড়া হয় ৩০টি। এ ছাড়া ইউএসএস লাবুন ছোড়া হয় সাতটি। এর মধ্যে ইউএসএস হিগিনস ২৩টি টমাহক ছোড়ে উত্তর আরব সাগর থেকে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের চার ইঞ্জিনবিশিষ্ট বি-ওয়ান ১৯টি জেএএসএসএম ক্রুজ মিসাইল ছোড়া হয়েছে। যেগুলো ৪৫০ কেজি ওয়ারহেড বহনে সক্ষম এবং এটি ৩৭০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরের লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত হানতে পারে। মার্কিন সাবমেরিন ইউএসএস জন ওয়ার্নার ভূমধ্যসাগর থেকে ছোড়ে ছয়টি টমাহক।

এ অভিযানে ফ্রান্সের রাফেল ফাইটার জেট অংশ নিয়েছে। দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট বিমানগুলোতে স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল সংযুক্ত থাকে, যা ২৫০ মাইলের বেশি উড়তে সক্ষম। সব মিলিয়ে ফ্রান্সের যুদ্ধবিমানগুলো নয়টি মিসাইল ছুড়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads