পার্লামেন্টের অনুমতি ছাড়াই সিরিয়ায় সামরিক হামলায় অংশ নেওয়ার জেরে বিরোধীদের ব্যাপক তোপের মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টের অনুমোদন নেওয়ার পরিবর্তে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনুসরণ করেছেন। গার্ডিয়ান এ খবর দিয়েছে।
স্থানীয় সময় গত শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সের সঙ্গে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রাগার লক্ষ্য করে একযোগে চালানো হামলায় অংশ নেয় ব্রিটেন। সিরিয়ায় চালানো হামলায় সফলতা দাবি করলেও দেশের ভেতরে বিরোধীদলীয় ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছেন থেরেসা।
করবিন বলেন, বোমা কখনো জীবন বাঁচাতে অথবা শান্তি বয়ে আনতে পারে না। পরবর্তী সময়ে আরো উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে পারে এ ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ পদক্ষেপ। তবে লেবার দলীয় অনেক সংসদ সদস্য এই হামলাকে যৌক্তিক মনে করলেও পার্লামেন্ট অধিবেশনের অনুমতি না নিয়েই এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে লেবার দলীয় আরেক এমপি জন উডকক বলেছেন, এটা ঠিক সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রাগার ধ্বংস করার মানবিক লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য এ অভিযানে যোগ দিয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে অবশ্যই ব্যাখ্যা করতে হবে, কেন তিনি মনে করেন সিরীয় অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য পার্লামেন্টে ভোটাভুটির দরকার নেই।
স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা সার্জিওন নিন্দা জানিয়ে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোড় দৌড়ে অংশ নেওয়ার আগে আমাদের হাউজ অব কমন্সের অনুমোদন নেওয়ার বিকল্প ছিল না। ব্রিটেনের গ্রিন পার্টির দুই নেতা ক্যারোলিন লুকাস ও জোনাথন বার্টলি বলেছেন, থেরেসা মে সংসদীয় গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছেন। আজ সোমবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, সিরিয়ায় ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসি জোটের ১২ ঘণ্টার ঝটিকা অভিযান শেষ হলেও রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার হলে আবারো একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন থেরেসা মে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলছে, আজ সোমবার পার্লামেন্টের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন থেরেসা মে। এ সময় সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেবেন তিনি।
