• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

জাতিসংঘের কালো তালিকায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৬ এপ্রিল ২০১৮

জাতিসংঘ কালো তালিকায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ প্রকাশিত এ প্রতিবেদনটি আজ সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হবে বলে ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর যৌন সহিংসতার অভিযোগ এনে ‘তাতমাদ্য’র (মিয়ানমার আর্মির সরকারি নাম) এ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলো।

মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ছাড়াও অন্যান্য দেশের মোট ৫১টি গ্রুপকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে কঙ্গো, সিরিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ সুদান, মালি ও নাইজেরিয়ার বোকো হারামের নাম রয়েছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মেডিকেল স্টাফ এবং অন্যান্য পর্যবেক্ষক পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে প্রমাণ পেয়েছেন, তারা ভয়াবহ রকমের যৌন সহিংসতা, শারীরিক ও মানসিক আঘাতের শিকার হয়েছেন। গত বছরের ২৫ আগস্ট কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে বিদ্রোহীদের হামলাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সামরিক অভিযান চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এ সময় ১০ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসে।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিয়ো গুতেরেস বলেছেন, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত রোহিঙ্গা নিধন অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। এ সময় রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপকহারে এই নির্যাতন চালানো হয়। আর এই কাজে তাদের সঙ্গ দিয়েছে স্থানীয় উগ্রপন্থি বৌদ্ধরা। তিনি বলেন, বিস্তৃত হুমকি ও যৌন সহিংসতাকে দমনের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আর এই কৌশলের উদ্দেশ্য হলো- রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্যরা যাতে তাদের মাতৃভূমি ছেড়ে যায় এবং আর ফিরে না আসে। নারীদের ওপর ভয়াবহ যৌন সহিংসতা চালানো হয়েছে। এমনকি গর্ভবতী এবং শিশুরাও দেশটির সেনাবাহিনীর এই সহিংসতার হাত থেকে রেহাই পায়নি বলে সমালোচনা করেন গুতেরেস।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সংবিধানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে দেশটির অধিবাসী হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া হয়নি। আর এই অজুহাত তুলে কয়েক দফায় রোহিঙ্গাদের ওপর সেনা নির্যাতন চালিয়ে আসছে দেশটির সরকার। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সর্বশেষ সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয় গত বছরের ২৫ আগস্ট। যখন বিদ্রোহীরা নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০টি চেকপোস্টে হামলা চালায়। জাতিসংঘ এই ‘অভিযানকে জাতিগত নিধন’ বলে অভিহিত করেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads