• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

বিদেশ

রাত জাগায় বাড়ে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৭ এপ্রিল ২০১৮

রাত জাগার কারণে মানুষের অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। যুক্তরাজ্যের গবেষকদের একটি দল আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, যারা রাত জাগেন ও দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন তাদের ক্ষেত্রে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। পরে এই গবেষণাপত্রটি আন্তর্জাতিক ক্রোনোবায়োলজি জার্নালে প্রকাশ করা হয়। বিবিসির খবরে জানা যায়।

যুক্তরাজ্যের ৪ লাখ ৩৩ হাজার মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা যায়, রাত জাগা মানুষের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা ১০ শতাংশ বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার কারণে বিভিন্ন মানসিক ও শারীরিক জটিলতার শিকার হতে হয়।

বিজ্ঞানীরা এ সংক্রান্ত গবেষণার জন্য চার ধরনের মানুষকে বেছে নিয়েছেন। যারা প্রতিদিন নিয়মিত সকালে ওঠেন, যারা মাঝে মাঝে সকালে ওঠেন, যারা মাঝে মাঝে দেরি করে ঘুমান এবং যারা প্রতি রাতে নিয়মিত রাত জাগেন। এই চারটি ক্যাটাগরিতে থাকা অংশগ্রহণকারীদের বয়স ৩৮ থেকে ৭৩ বছরের মধ্যে। সেখানে দেখা যায় যে ব্যক্তি নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে ওঠেন তার গড় আয়ু রাত জাগা ব্যক্তিদের থেকে সাড়ে ছয় বছর বেশি।

তবে এর সঙ্গে ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ, গোত্র, ওজন, আর্থসামাজিক অবস্থা, খাদ্যাভ্যাস, লাইফস্টাইল ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় জড়িত। এই সবগুলো বিষয়ের সামঞ্জস্যপূর্ণ হিসাব শেষেই দেখা যায়, সকাল বেলায় যারা ঘুম থেকে ওঠেন, তাদের অকাল মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম। আর যাদের দেহঘড়ি অনিয়মে চলে তাদের এই ঝুঁকি বাড়তেই থাকে।

রাত জাগার বদভ্যাস যারা গড়ে তুলেছেন তাদের ৯০ শতাংশ বিভিন্ন মানসিক ব্যাধির শিকার হন। ৩০ শতাংশের থাকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। এ ছাড়া স্নায়বিক সমস্যা থেকে শুরু করে অন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।

সুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রোনোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ম্যালকম ভনের মতে, রাত জাগার এই সমস্যা বর্তমানে জনস্বাস্থ্য সমস্যায় রূপ নিয়েছে। নগরায়নের এ যুগে যা এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। রাত জাগার অভ্যাস বদলাতে রাতের বেলা মোবাইল ও ল্যাপটপের ব্যবহার কমাতে হবে বলে মত দেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads