• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

আসিফার পরিবারকে নিরাপত্তার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৭ এপ্রিল ২০১৮

ভারতে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার শিশু আসিফা বানুর বিচারিক কার্যক্রম জম্মু থেকে চন্ডিগড় রাজ্য আদালতে স্থানান্তরের আবেদন জানিয়েছেন ওই শিশুর বাবা। পরিবারের নিরাপত্তা বিবেচনায় গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টে তিনি এ আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। এ বিষয়ে আসিফার আইনজীবী জানান, ‘জম্মুর অবস্থা দেখে আমরা উদ্বিগ্ন যে বিচার প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে না। কাঠুয়ার আইনজীবীদের বিরোধিতা এবং অভিযোগপত্র দায়ের করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই মামলা অন্য কোনো রাজ্যের আদালতে স্থানান্তরের জন্য আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।’

এ ছাড়া আইনজীবী দীপিকা এস রাজাওয়াত মিডিয়াকে জানান, তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে তিনি ধর্ষণের শিকার হতে পারেন এমন আশঙ্কাও করছেন তিনি। সোমবার আসিফা বানুর হত্যার ঘটনায় আট আসামির বিরুদ্ধে মামলার বিচারকার্য শুরু হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন আয়কর কর্মকর্তা, দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে। মামলার বিবরণ অনুসারে, আসিফা বানুকে অপহরণের জন্য অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও দেবীস্থান মন্দিরের অধিকারী সানজি রাম তার ভাগ্নে ও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়। নির্দেশনা অনুযায়ী সাত দিন ধরে মন্দিরে শিশুটিকে না খাইয়ে আটকে রেখে ধর্ষণের পর মাথায় পাথর মেরে ও গলা টিপে তাকে হত্যা করা হয়। এদিকে ধর্ষক ও হত্যাকারীদের পক্ষাবলম্বনকারী কাশ্মিরের দুই বিজেপি মন্ত্রী (শিল্পমন্ত্রী চন্দ্র ওরফে গঙ্গা এবং বনমন্ত্রী লাল সিং) মুখ্যমন্ত্রী বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। পাশাপাশি ওই দুই বিজেপি নেতা মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির পদত্যাগ দাবি করেছেন।

ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে আসিফা ধর্ষণ ও হত্যা মামলা বেশ বেকায়দায় ফেলেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া সিএনএনে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেস দাবি করছে, বিজেপি হত্যাকারীদের বিচার থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। কারণ গত মার্চেই হিন্দু একতা মঞ্চ নামে একটি সংগঠন অভিযুক্তদের পক্ষে একটি সমাবেশ আয়োজন করেছিল এবং সেই সমাবেশে বিজেপির বেশ কয়েক নেতাকেও দেখা যায়। যত দিন গড়াচ্ছে ততই ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন বাড়ছে। এর আগে নির্ভয়া ধর্ষণের ঘটনায় আন্দোলনের পর ভারতের সংসদকে কঠোর আইন পাস করতে হয়েছিল। ওই আন্দোলনের পর আসিফা বানুর ঘটনায় চলমান আন্দোলনকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads