• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা খারিজ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৮ এপ্রিল ২০১৮

রাশিয়ার বিরুদ্ধে গত সোমবার জারি করা নতুন নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউইয়র্ক টাইমস মনে করছে, এমন সিদ্ধান্ত দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে ট্রাম্পের বিভেদ বাড়াবে। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিক্কি হ্যালি গত রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন যে, সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র প্রকল্পে কিছু রুশ কোম্পানির সংশ্লিষ্টতার কারণে ওয়াশিংটন মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। দৌমা শহরে কথিত রাসায়নিক হামলার পর দামেস্কে যুক্তরাষ্ট্র জোটের হামলার পর এই নিষেধাজ্ঞাকে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে মস্কোর ওপর পরবর্তী চাপ হিসেবেই দেখা হচ্ছিল। কিন্তু গত সোমবার হোয়াইট হাউজ থেকে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই বাড়তি নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন দেননি।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ হুকাবে স্যান্ডার্স বিবৃতিতে বলেন, ‘রাশিয়ার ওপর বাড়তি নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে ভেবে দেখা হবে বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।’ এ সময় তিনি আরো বলেন, এটা পরিষ্কার যে, প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার ওপর কঠোর হতে যাচ্ছেন। কিন্তু একই সময়ে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্কও রাখতে চান।’ এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন হাউজ ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির কর্মকর্তা ইলিয়ট এল এনজেল।

হোয়াইট হাউজের অপর এক কর্মকর্তা জানান, ট্রাম্প আর নিষেধাজ্ঞা দিতে চাইছেন না। এসব নিষেধাজ্ঞা অপ্রয়োজনীয়, কারণ বিমান হামলার বিপরীতে মস্কোর প্রতিক্রিয়া শুধু তর্জন-গর্জন মাত্র। তবে রাশিয়ার এক বিশ্লেষকের মতে, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত জানান দিচ্ছে, ওয়াশিংটন প্রশাসন এখনো মস্কোর সঙ্গে সুসঙ্গত এবং সুসম্পর্ক রাখতে চাইছে। পূর্ব ইউক্রেনে রুশ আধিপত্য, আমেরিকার সর্বশেষ নির্বাচনে রুশ প্রভাব, যুক্তরাজ্যে সাবেক রুশ কূটনীতিককে নার্ভ গ্যাস প্রয়োগ এবং সিরিয়ায় কথিত গ্যাস হামলা সত্ত্বেও এমনটা চাইছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প প্রায়ই তার বক্তব্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলে আসছেন। যদিও গত সপ্তাহেও রাশিয়ার ওপর দুই দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্যের ঘটনায় ৬০ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওয়াশিংটন কর্তৃপক্ষ বলছে, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নতুন কোনো পদক্ষেপ নিলে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

অবরোধ খারিজ সংক্রান্ত সংবাদ না শুনেই ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্র পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সংস্কার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads