• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

বিদেশ

পার্লামেন্টে প্রশ্নের মুখে মে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৮ এপ্রিল ২০১৮

পার্লামেন্টের অনুমতি ছাড়াই একক সিদ্ধান্তে সিরিয়ায় হামলা চালানোয় এমপিদের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। গত সোমবার হাউজ অব কমন্সে বিরোধী লেবার পার্টির নেতারা থেরেসা মের এই সিদ্ধান্তকে অনৈতিক বলে অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতে যাতে একক সিদ্ধান্তে কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারেন সে জন্য ‘ওয়ার পাওয়ার অ্যাক্ট’ প্রণয়নের দাবিও জানিয়েছেন পার্লামেন্ট সদস্যরা। আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করা হয়।

তবে নিজের একক সিদ্ধান্তকে বরাবরই বৈধ বলে দাবি করেন থেরেসা মে। পার্লামেন্টে আলোচনা না করার যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, স্পর্শকাতর অনেক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসবের অনেক কিছুই এমপিদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এমপিদের কাজ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে পার্লামেন্টে জবাবদিহি করা। আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার কাজ জাতীয় স্বার্থে সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করলে রাশিয়া তাতে আপত্তি জানিয়ে আটকে দেবে। এতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রনীতিকে রাশিয়া বাধাগ্রস্ত করার সুযোগ পায়। এ ছাড়া বন্ধু রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে থেরেসা মে’র এসব বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্ট ও এদেশের জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নয়।

বাশার আল আসাদ যে ওই রাসায়নিক হামলার জন্য দায়ী, সে বিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত বলে দাবি করেন মে। এ বিষয়ে করবিন প্রমাণ হাজিরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। বোমা হামলার সঙ্গে মানুষের জীবন-মৃত্যু জড়িত। অন্য দেশে বোমা হামলা চালানোর মতো এমন গুরুতর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পার্লামেন্টের অনুমোদন বাধ্যতামূলক করতে ‘সমর ক্ষমতা আইন’ প্রণয়নের দাবি তোলেন করবিন। মূলত যেকোনো দেশে হামলার ব্যাপারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু ২০০৩ সালে ইরাকে হামলার সময় থেকে যেকোনো যুদ্ধে জড়ানোর আগে পার্লামেন্টের অনুমোদন নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীরা। করবিন বলেন, থেরেসা মে পার্লামেন্টের অনুমোদন নেওয়ার এই রীতি ভঙ্গ করেছেন।

এ আলোচনার গুরুত্ব বিবেচনায় সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে স্পিকার জন বার্কো প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ বিষয়ে বিতর্কের জন্য দুদিন বরাদ্দ দেন। গত সোমবার বিকালে অনুষ্ঠিত ওই অধিবেশনে প্রায় তিন ঘণ্টা বিতর্ক চলে। গতকাল মঙ্গলবার এমপিদের মতামতের জন্য ‘ওয়ার পাওয়ার অ্যাক্ট’ প্রণয়নের প্রস্তাব তোলার কথা লেবার পার্টির। তবে হামলার সিদ্ধান্ত বৈধ ছিল কি না, সে বিষয়ে ভোটাভুটি না হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এদিকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে বিতর্ক চলাকালীন পার্লামেন্টের বাইরে শত শত লোক সিরিয়ায় হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। ‘স্টপ দ্য ওয়ার কোয়ালিশন’ ওই বিক্ষোভের আয়োজন করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads