• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

তিমির মরদেহে ৬৪ পাউন্ড প্লাস্টিক

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৮ এপ্রিল ২০১৮

তিমির মরদেহে পাওয়া গেল ৬৪ পাউন্ড প্লাস্টিক। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। সম্প্রতি দক্ষিণ স্পেনের মুরসিয়া উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয় ছয় টন ওজনের একটি স্পার্ম হোয়েলের মৃতদেহ। তার মৃত্যুর কারণ যাচাই করতে গিয়ে চিকিৎসকরা খুঁজে পান প্লাস্টিকের উপস্থিতি। খবর ইন্টারনেট।

বিপন্ন প্রজাতির এ তিমিটি প্লাস্টিক হজম করতে না পেরেই মারা গেছেন বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা। এভাবে চললে বিপন্ন বা বিরল সামুদ্রিক প্রাণীর বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে। কারণ মানুষের অতিরিক্ত প্লাস্টিক ব্যবহারই তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

সাধারণত একটি স্পার্ম হোয়েলের আয়ু মানুষের মতোই। কমপক্ষে সত্তর বছর বাঁচে তারা। কিন্তু প্লাস্টিক ব্যবহারে বিশ্বের সাগর-মহাসাগরগুলো যেভাবে কলুষিত হচ্ছে, তাতে এ ধরনের তিমির বেঁচে থাকা কঠিন। মুরসিয়া থেকে উদ্ধার হওয়া তিমিটি ছিল প্রায় ৩৩ ফুট লম্বা। পরিবশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দেহটি ময়নাতদন্ত করে প্লাস্টিক ব্যাগ, জাল, দড়ি, প্লাস্টিকের বস্তা, এমনকি প্লাস্টিকের জ্যারিক্যানও পাওয়া গেছে। প্লাস্টিক থেকে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক সংক্রমণ হওয়ায় ধীরে ধীরে মারা যায় তিমিটি।

একটি সমীক্ষা থেকে দেখা যায়, বর্তমানে ৫ লাখ কোটিরও বেশি প্লাস্টিকের তৈরি দ্রব্য ভেসে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন সাগর-মহাসাগরে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৩০ বছরের মধ্যে সাগর থেকে উধাও হয়েও যেতে পারে মাছ। স্পার্ম হোয়েলের মৃতদেহ উদ্ধারের পরে টনক নড়েছে মুরসিয়ার কর্মকর্তাদেরও। সমুদ্র উপকূলে প্লাস্টিক ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সেখানকার আঞ্চলিক সরকার। তাদের সঙ্গে কিছু কিছু দেশও সচেতন হওয়ার চেষ্টা করছে। পুনর্ব্যবহার করা যায়- এমন প্লাস্টিক ব্যবহারের নির্দেশনা জারি করেছে তারা। কেউ আবার জরিমানার বিধান করেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads