• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

ট্রাম্প-অ্যাবে বৈঠক

উত্তর কোরিয়া ও বাণিজ্য ইস্যুতে আলোচনা

  • প্রকাশিত ১৮ এপ্রিল ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু’দিনব্যাপী এ বৈঠকে উভয়ের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় ‘উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রম’ ইস্যু গুরুত্ব পেয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। ফ্লোরিডার পাম বিচে ট্রাম্পের অবকাশ কেন্দ্র মার-এ-লাগেতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার দু’দিনব্যপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রমসহ বাণিজ্য, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ইস্যু প্রাধান্য পাবে বলে সফরের শুরুতে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন অ্যাবে। ট্রাম্পের এই পাম বিচে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এটি দ্বিতীয় সফর।

বৈঠকের ব্যাপারে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, নিশ্চিতভাবেই জাপানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি চমৎকার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। অ্যাবের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে আগামী মে অথবা জুন মাসে ট্রাম্পের বৈঠকের সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছিল। তা ছাড়া একজন দক্ষিণ কোরীয় কর্মকর্তা এ বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই টোকিও কর্মকর্তারা চীন নিয়ে উদ্বেগ ও মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়াকে নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন। ফলে আঞ্চলিক নিরাপত্তার নিয়ে শঙ্কিত জাপান চাচ্ছে নিজের দেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-উত্তর জাপান সংবিধানের ৯নং অনুচ্ছেদে (শান্তিবাদী সংবিধান) বহির্বিশ্বের সঙ্গে কোনো ধরনের যুদ্ধে না জড়ানোর প্রতিশ্রুতি রয়েছে। সেই থেকে জাপানের নিরাপত্তা ইস্যুতে বেশ শক্তপোক্তভাবে জড়িয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রের নাম। এ জন্য জাপানকে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ গুনতে হয় প্রতিবছর। আর ব্যবসায়িক ব্যাপারে দক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচন জয়ের পরপরই অ্যাবের সঙ্গে প্রায় ৯০ মিনিট বৈঠক করেন। এরপরই ট্রাম্প জানান, জাপানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটির ভূখণ্ডে মোতায়েন হাজার হাজার মার্কিন সেনার ভরণপোষণের জন্য জাপানের উচিত আরো অর্থ পরিশোধ করা। এ সময় তিনি উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র (সম্ভাব্য) হামলার হুমকি মোকাবেলার জন্য জাপানকে (সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়াকেও) তাদের নিজস্ব পরমাণু অস্ত্র তৈরির পরামর্শ দেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন। শুধু তাই নয়, গত বছর জাপান সফরকালে ট্রাম্প বলেছিলেন, নিজেদের দক্ষ সেনাবাহিনী গড়তে যত অস্ত্র টোকিওর প্রয়োজন তা যুক্তরাষ্ট্র থেকেই কিনতে হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads