• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

সিরিয়ায় সেনা পাঠাতে চায় সৌদি আরব

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৯ এপ্রিল ২০১৮

আন্তর্জাতিক জোটের অংশ হিসেবে সিরিয়ায় সেনা পাঠাতে চায় সৌদি আরব। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলাপ করছে রিয়াদ। সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল আল-জুবায়ের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এ কথ জানান। এ ঘটনাকে সিরীয় সঙ্কটের শুরুর সময় থেকে দুই দেশের মধ্যে চলমান আলোচনার ধারাবাহিকতা বলে দাবি করেছেন তিনি। খবর বিবিসি ও সিএনএন।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছেও একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, যদি যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় সেনা পাঠায় তবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে জোট বেঁধে সৌদি আরবও সেনা পাঠানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করবে। মঙ্গলবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের পাশে বসে রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সিরিয়ায় সঙ্কট শুরুর পর থেকেই আমরা দেশটিতে সৈন্য পাঠানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং এখনো করে যাচ্ছি। ২০১৬ সালে সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সেনা পাঠাতে নিজেদের প্রস্তুতির কথাও জানায় সৌদি। সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে বিমান হামলায় সৌদি ২০১৪ সাল থেকেই অংশ নিয়ে আসছে। তবে ওবামা প্রশাসনকে সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও পরে সেখান থেকে সরে এসেছিল দেশটি।

প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প রিয়াদকে সিরীয় যুদ্ধের ব্যয় বহনের তাগিদ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যে সেনা মোতায়েনে সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার কথা জানা গেল। পূর্ব সিরিয়ায় বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের দুই হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন রয়েছে। তারা আইএসবিরোধী লড়াইয়ের পাশাপাশি সিরিয়ার সরকারবিরোধী বিদ্রোহীদের সঙ্গে কাজ করছে। ৮ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলা সিরিয়া থেকে সম্প্রতি সেনা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প।

গত ৩ এপ্রিল হোয়াইট হাউজে বাল্টিক অঞ্চলের তিন দেশের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেছিলেন, সিরিয়ায় তাদের সেনা উপস্থিতি দেখতে হলে রিয়াদকেই সামরিক ব্যয় মেটাতে হবে। তবে মঙ্গলবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ দাবি করেন, সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার না করার বিষয়ে ট্রাম্পকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস দমনের নামে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে বিপরীত অবস্থান নিয়েছে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলো। রাশিয়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা পৃষ্ঠপোষকতা করছে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে। আবার মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির বড় প্রভাবক ইরানের সমর্থন বাশারের দিকে। রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে থাকলেও তুরস্ক বাশারবিরোধী।

সৌদি আরবের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বিদ্রোহী সুন্নি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে আর্থিক ও সামরিকভাবে মদদ জোগানোর। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি এক কোটিরও বেশি মানুষ হয়েছে বাস্তচ্যুত। এদের মধ্যে প্রায় ৬ লাখ মানুষ বিদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। রাশিয়া ও ইরানের সমর্থন নিয়ে এখনো সিরিয়ার বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads