• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

বিদেশ

আন্তর্জাতিক ও ভঙ্গুর অর্থনৈতিক চাপে কিউবা

ক্ষমতায় আসছেন নতুন প্রেসিডেন্ট

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৯ এপ্রিল ২০১৮

ক্যাস্ত্রোর যুগের অবসানের পর প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে যাচ্ছে কিউবা। রয়টার্স ও সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বুধ ও আজ বৃহস্পতিবার দু’দিনব্যাপী অধিবেশনের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন কিউবার পার্লামেন্ট সদস্যরা।

হাভানার কনভেনশন সেন্টারে গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই অধিবেশনে বিভিন্ন এলাকা ও শ্রেণির ৬০৫ পার্লামেন্ট সদস্য রাউল ক্যাস্ত্রোর উত্তরাধিকারী নির্বাচন করবেন। এ ছাড়া নতুন ৩০ স্টেট কাউন্সিলরও ঠিক করা হবে। আগামী দিনগুলোতে এই কাউন্সিলররাই দেশটির প্রতিনিধিত্ব করবেন। তবে প্রেসডেন্টের পদ থেকে বিদায় নিলেও রাউল ২০২১ সাল পর্যন্ত কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান থেকে যাবেন। শুধু তাই নয়, দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর কর্তৃত্বও এখনই পাচ্ছেন না নতুন প্রেসিডেন্ট। তাই চট করে কিউবায় আমূল অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসবে এটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই।

৮৬ বছর বয়সী রাউলের জায়গায় নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মিগুয়েল দিয়াজ-কানেলের নামই ঘুরেফিরে আসছে। উদারপন্থি হিসেবে পরিচিত ৫৭ বছর বয়সী রাজনীতিকের হাতে কিউবার ভবিষ্যৎ কতটা এগিয়ে যাবে সেটা দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব। তবে দিয়াজ-কালের প্রেসিডেন্ট হওয়া যে অবধারিত এমনটাও আবার অনেকে মনে করেন না। তাদের ধারণা, এই পদটা পার্টির ১৭ সদস্যের পলিট ব্যুরোর সদস্য অপর অভিজ্ঞ তরুণদের যেকোনো একজনের হাতে যেতে পারে। তবে যার হাতেই যাক না কেন, তাকে একটা সমস্যাসঙ্কুল দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে হবে।

বিপ্লবোত্তর কিউবার সবচেয়ে বড় বন্ধু ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। কিন্তু এর পতনের সঙ্গে সঙ্গেই কিউবার জন্য সব সহযোগিতার দরজা বন্ধ হয়ে যায়। মন্দা থেকে বাঁচাতে দেশটির ভর্তুকি ধরে দেওয়া তেল কিউবার অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখে। তবে এই অর্থেও ঘাটতি মেটানো সম্ভব হয়নি দেশটির। ফলে সরকার আমদানি কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ২০০৮ সালে ফিদেলের কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নসহ অভ্যন্তরীণ খাতে বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রম করেছিলেন রাউল। তার সময়েই কিউবার পর্যটন খাত নতুন আঙ্গিকে ঢেলে সাজানো হয়।

তবে গত সেপ্টেম্বরে হ্যারিকেন ইরমার আঘাতে কিউবার পর্যটন শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়। অর্থনীতি আরো সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। অর্ধেক সংখ্যক কিউবান নিদারুণ দুদর্শার মধ্যে রয়েছে। এমন অবস্থায় কিউবার পরবর্তী নেতাদের পরিবর্তনের দিকে যেতেই হবে। পরিবর্তন বা সংস্কার আনতে না পারলে একটা সময় আসবে যখন জনগণ বিরাজমান পরিস্থিতি আর মেনে নিতে চাইবে না। তখন সমাজের অভ্যন্তরে শুরু হবে টানাপড়েন ও অস্থিরতা। এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মতো কট্টর পুঁজিবাদী দেশগুলোর আন্তর্জাতিক চাপ তো রয়েছেই। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিউবার ওপর আরো চাপ সৃষ্টির পক্ষে মত দিচ্ছেন। এই চাপ সামলেই দেশের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্টকে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads