• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

পাকিস্তান সীমান্তে ভারতের সেনা তৎপরতা বৃদ্ধি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২০ এপ্রিল ২০১৮

পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে বড় আকারের সেনা তৎপরতা বাড়িয়েছে ভারত। এ সীমান্তে বিশেষভাবে বিমানবাহিনীকে তৎপর থাকতে বলা হয়েছে বলে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলো। তাদের অভিযোগ, সামনেই দেশে জাতীয় নির্বাচন। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী জনপ্রিয়তা বাড়াতেই পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে যেতে চাইছে মোদি সরকার।

পাকিস্তান সীমান্তে সেনা তৎপরতা বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটা রুটিনমাফিক বিষয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৭৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়েই জারি করা হয়েছে সতর্কতা। এটি হলো আগাম সতর্কতা। কারণ পাহাড়ে বরফ গলতেই ভারতে জঙ্গি ঢোকাতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এক্ষেত্রে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও থাকবে বলে তাদের অভিযোগ। জঙ্গিদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করতে সীমান্তে ভারতীয় চৌকি লক্ষ্য করে মর্টার হামলা চালানো হচ্ছে বলেও জানায় মন্ত্রণালয়। এর পাল্টা জবাব দিতেই নিয়ন্ত্রণ রেখা ও সীমান্তজুড়ে সেনাসদস্যের সংখ্যা ও অস্ত্র বাড়ানো হয়েছে। একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে। পাকিস্তানের কোটলি, মিরপুর, এমনকি রাওয়ালপিন্ডি থেকেও পূর্ব প্রান্তে সেনা পাঠানো শুরু করেছে ইসলামাবাদ।

আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদি সরকারের পক্ষ থেকে এটাকে রুটিন বিষয় বলা হলেও বিরোধীদের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয়তাবাদের আবেগ উসকে দিতে নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের বড় মাপের কোনো অভিযানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বর্তমান সেনা তৎপরতা সেই প্রস্তুতির অঙ্গ। এমন অভিযানের মূল লক্ষ্যই হবে পাকিস্তান সীমান্তে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরগুলোকে পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া। দীর্ঘদিন ধরে ওই দাবি রয়েছে বিজেপির অন্দরে।

বিজেপি মনে করে ওপারের জঙ্গি শিবির ধ্বংস করা গেলে দেশের লাভ, ফায়দা দলেরও। লোকসভা ভোটেও তার সুফল মিলবে। তবে পাল্টা হামলার আশঙ্কাও থাকছে। বিশেষ করে, পাকিস্তান যেহেতু পরমাণু শক্তিধর দেশ। আগাম সতর্কতা হিসেবে তাই বিশেষভাবে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে বিমানবাহিনীর ওয়েস্টার্ন এয়ার কম্যান্ডকেও। তাদের অধীন থাকা এলাকায় ১৮টি বিমান ঘাঁটি রয়েছে। তাদের প্রত্যেকটিকে ২৪ ঘণ্টা সতর্ক থাকার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রতিটি ঘাঁটিতে তিন থেকে চারটি বিমানকে ‘অপারেশনাল রেডিনেস’ পর্যায়ে রাখতে বলা হয়েছে। যাতে আক্রমণ হলে সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেওয়া যায়। চলতি সপ্তাহেই উত্তরকাশীতে বিমানবাহিনীর অপারেশন গগন শক্তির পর ওই জল্পনা তীব্র হয়েছে আরো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads