• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

বিদেশ

আত্মঘাতী বোমারু পিঁপড়া!

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২১ এপ্রিল ২০১৮

ঘিরে ধরা শত্রুদের ধ্বংস করতে পারে এমন আত্মঘাতী বোমারু পিঁপড়ার সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। প্রাণিজগতের অন্যান্য নিচু স্তরের কীটপতঙ্গ ওই পিঁপড়াদের আক্রমণ করলে প্রথমে তারা লড়াইয়ের চেষ্টা করে। কিন্তু একপর্যায়ে অধিক ক্ষতি এড়াতে আত্মঘাতী বোমারু পিঁপড়ারা তাদের শরীরের নিজের অংশ ক্রমশ সঙ্কুচিত করতে থাকে। একপর্যায়ে শরীরের সঙ্কুচিত অংশ ফেটে গেলে তৎক্ষণাৎ ওই পিঁপড়ার মৃত্যু হয় এবং এক প্রকার আঠালো বিষাক্ত পদার্থ নির্গত হতে থাকে। ওই আঠালো বিষাক্ত পদার্থের ফলে আক্রমণকারী কীটপতঙ্গের অনেকে মারা যায় অথবা আহত হয়। বোর্নিওর ঘন জঙ্গলে বিজ্ঞানীরা এই পিঁপড়ার সন্ধান পেয়েছেন বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল। তবে বিজ্ঞানীদের মতে, প্রাণিকুলের অন্যান্য পিঁপড়াও এক প্রকার কেমিক্যাল নিক্ষেপ করে শত্রুর দিকে। ক্যামিকাজে নামে এই পিঁপড়ার শরীরে ওই কেমিক্যালের পরিমাণ ও বিষের মাত্রা বেশি।

ন্যাচারাল হিস্টোরি মিউজিয়াম ভিয়েনার গবেষকরা এখন পর্যন্ত মোট পনেরো প্রজাতির পিঁপড়া আবিষ্কার করেছে, যারা প্রয়োজনে আত্মঘাতী হতে পারে। মূলত ১৯১৬ সালের দিকে প্রথম এই প্রজাতির আত্মঘাতী পিঁপড়ার সন্ধান পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে এই পিঁপড়ার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বের করার চেষ্টা করছেন। ঠিক কোন অবস্থায় এবং কতটা চাপ সহ্য করার পরেই ওই পিঁপড়ারা আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাই এখন গবেষণার বিষয়। তবে গবেষকদের মতে, এই প্রজাতির পিঁপড়াদের মধ্যে সকলেই আত্মঘাতী হয় না। কলোনির অন্যান্য পিঁপড়ার তুলনায় কিছুটা বড় এবং শরীরের শুরুর অংশ আয়তাকার হয় এমন পিঁপড়ারাই আত্মঘাতী হয় বেশি। প্রকৃতিতে আত্মঘাতী প্রাণী নতুন কিছু নয়। কিন্তু নিজের প্রজাতির সদস্যদের বাঁচানোর জন্য অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে আত্মঘাতী হওয়া প্রাণী এবারই প্রথম আবিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা যায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads