• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

বিদেশ

ভারতে শিশু ধর্ষণে শাস্তি মৃত্যুদণ্ডে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৩ এপ্রিল ২০১৮

শিশু ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ডের অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ। স্থানীয় সময় রোববার তিনি অধ্যাদেশে অনুমোদন দেন। শনিবার মন্ত্রিসভায় অধ্যাদেশটির অনুমোদন দেওয়া হয়। খবর এনডিটিভি।

সংশোধিত ফৌজদারি অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ১২ বছরের নিচের শিশুকে ধর্ষণের অপরাধে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিতে পারবেন আদালত। এ ছাড়া বিচারের জন্য দ্রুত বিচার আদালত স্থাপন ও সব থানা এবং হাসপাতালে স্পেশাল ফরেনসিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে আইনজীবীরা বলেন, এই আইনে ধর্ষকের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত হবে। বিশেষ করে ১৬ এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশু ধর্ষণে অভিযুক্তরা কঠোর সাজা পাবেন।

নতুন আইনে নারী ধর্ষণের সাজা সাত থেকে বাড়িয়ে দশ বছর করা হয়েছে। ১২ বছরের নিচের শিশুকে ধর্ষণে ন্যূনতম সাজা ২০ বছরের কারাদণ্ড থেকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান হয়েছে। এ ছাড়া ১২ বছরের কমবয়সী শিশুকে গণধর্ষণ করলে সাজা যাবজ্জীবন কারাবাস অথবা মৃত্যুদণ্ড। এ ছাড়াও অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ১৬ বছরের নিচের কাউকে ধর্ষণ বা গণধর্ষণ করলে অভিযুক্তরা আগাম জামিন পাবেন না। নতুন আইনে ধর্ষণ মামলার তদন্ত দ্রুত সময়ে শেষ করতে বলা হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। আর এ ধরনের মামলায় আপিল নিষ্পত্তির জন্য ছয় মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত জানুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মিরের কাঠুয়ায় মুসলিম যাযাবর সমপ্রদায়ের আট বছর বয়সী শিশু আসিফাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা ভারত। এর জেরে দেশটির নারী ও শিশু উন্নয়ন-বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় ওই অধ্যাদেশের প্রস্তাব তোলেন। শনিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। এর আগে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মন্ত্রিসভায় সর্বোচ্চ সাজার সুপারিশ করা হলেও তা অনুমোদন পায়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads