• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

ট্রাম্পের অভিবাসন ইস্যুতে শুনানি কাল

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৪ এপ্রিল ২০১৮

অভিবাসন নীতিতে প্রথমবারের মতো সুপ্রিম কোর্টের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ও অভিবাসন নীতি বিষয়ে আগামীকাল দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি হবে। খবর বিবিসি ও সিএনএন।

এই মামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার পরিধির বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। গত সেপ্টেম্বরে অভিবাসন নিয়ে নতুন নীতি করেন ট্রাম্প। এ ছাড়া তিনি ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন ও সাদের নাগরিকদের সেদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরে গত ১০ এপ্রিল নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে সাদকে বাদ দেওয়া হয়।

ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বা অভিবাসন নীতির আইনগত ভিত্তি নিয়ে হাইকোর্ট এর আগে কখনো কিছু বলেননি। তবে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখলেও শিশুকালে মা-বাবার সঙ্গে সেদেশে পাড়ি জমানো অবৈধ তরুণ বা ড্রিমারসদের বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

নতুন নীতির আওতায় অবৈধ অভিবাসীদের সুরক্ষা প্রদানকারী রাজ্য ও শহরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, অবৈধদের বের করে দেওয়ার প্রচেষ্টা জোরদার করা এবং বৈধ অভিবাসনের সুযোগ কমানোর কথা বলা হয়েছে। সেপ্টেম্বরে নতুন নীতি ঘোষণা করলেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সাত দিনের মাথায় অভিবাসন বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। এরপর দ্বিতীয় দফায় জুনে ড্রিমার্সদের বের করে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

ট্রাম্পের ভ্রমণনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে হাওয়াই অঙ্গরাজ্য। তাদের মতে, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফলে কেন্দ্রীয় অভিবাসন আইন এবং সংবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে। সংবিধানে আছে বিশেষ কোনো ধর্মের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হওয়া যাবে না। হাওয়াইয়ের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ডাউগ চিন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা পরিবারগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। বিশেষ এক দল লোককে হেয় এবং সুবিধাবঞ্চিত করে তৈরি এই নীতি আমাদের মূল্যবোধের ক্ষয় করছে।

তবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্পের নীতিকে সমর্থনই করবেন সর্বোচ্চ আদালত। কারণ গত ৪ ডিসেম্বর আইনি প্রক্রিয়া চলাকালীন নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখার অনুমতি চেয়ে প্রশাসনের করা আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৭ এপ্রিল অভিবাসন সম্পর্কিত আরেকটি মামলার রায় হয়। সেখানে সহিংস অপরাধ করার কারণে নাগরিকত্ব বাতিল করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর আইনি ধারাকে অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। সেই বিধানে উল্লেখ ছিল, সহিংস অপরাধে দোষী সাব্যস্ত অভিবাসীদের বিতাড়ন করতে হবে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির সময় ট্রাম্প বলেন, ইসলামী জঙ্গিদের সন্ত্রাসবাদ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করতে এটা জরুরি। সে সময় তিনি টুইটারে বলেন, নিষেধাজ্ঞা হতে হবে বিশাল, কঠিনতর ও সুনির্দিষ্ট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads