• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

ইন্দোনেশিয়ায় শিশু বিয়ে নিয়ে কড়া সমালোচনা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৬ এপ্রিল ২০১৮

ইন্দোনেশিয়ায় অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই কিশোর-কিশোরীর বিয়েকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে আইনি লড়াই চালানোর পর চলতি সপ্তাহে তাদের বিয়ের অনুমতি মেলে। মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ ইন্দোনেশিয়ায়ই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বালিকা বধূ আছে। দেশটিতে বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ছেলেদের জন্য ১৯, আর মেয়েদের ১৬। তবে ধর্মীয় আদালত চাইলে কম বয়সেও বিয়ের অনুমতি দিতে পারে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

ধর্মীয় আদালতের অনুমতির পর ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসিতে ১৫ বছরের বর ও ১৪ বছরের কনের বিয়ে হওয়াকে কেন্দ্র করে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। সমালোচনার জেরে শিশুদের মধ্যে বিয়ে ঠেকাতে দেশটির সরকার এখন আইন পরিবর্তনের কথাও ভাবছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মনোযোগ কেড়ে নেওয়া এ বিয়ের সমালোচনা করেছেন সাধারণ নাগরিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতারাও। প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো জানিয়েছেন, বাল্যবিয়ের চর্চা বন্ধ করতে এবং বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়াতে তিনি নতুন আইনের পরিকল্পনা করছেন। এ ধরনের বিয়ে বন্ধের জন্য গত বছর অভূতপূর্ব এক ফরমান জারি করেছিলেন ধর্মীয় নারী নেতারাও। তারা মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স বাড়িয়ে ১৮ করতে সরকারের প্রতি অনুরোধও জানিয়েছিলেন।

সুলাওয়েসির ওই বালিকা বধূ সাংবাদিকদের জানায়, পাঁচ মাস ধরে প্রেম করছিলেন তারা। অভিভাবকরা জানতে পেরে বিয়ে দিতে উদ্যোগী হন। বিয়েকে ‘ভাগ্য’ হিসেবেও অভিহিত করেছে ইন্দোনেশীয় এ কিশোরী। তার মায়ের বিয়েও ১৪ বছর বয়সে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। ধর্মীয় বিষয়াদির দেখভাল করা দফতর (কেইউএ) প্রথমে এই অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর-কিশোরীর বিয়ের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল। দুজনের বাবা-মা পরে ধর্মীয় আদালতের শরণাপন্ন হন, সেখানে কেইউএ’র সিদ্ধান্ত উল্টে যাওয়ার পর গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয় তাদের।

ইন্দোনেশিয়াজুড়ে এ ধরনের শিশু বিয়ের সংখ্যা অগুনতি বলে জানিয়েছে বিবিসি। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, ১৮-এর আগেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দেশটির ১৪ শতাংশ নারী; ১ শতাংশের বিয়ে হয় বয়স ১৫ বছর হওয়ার আগে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, বাল্যবিয়ের বিধ্বংসী পরিণতি দারিদ্র্যের দিকে ধাবিত করে এবং কম বয়সে গর্ভধারণ মেয়েদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads