• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

গাজায় ইসরাইলি সহিংসতায় নিহত ৪

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৯ এপ্রিল ২০১৮

গাজা-ইসরাইল সীমান্তে গত শুক্রবারের সহিংসতায় অন্তত চারজন নিহত ও সহস্রাধিক আহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। শুক্রবার দুপুরে বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে এক হামাস নেতা বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে সহিংসতা শুরু হয়। এ সময় শতাধিক ফিলিস্তিনি সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার দিকে অগোতে শুরু করলে ইসরাইলি বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে। তবে ফিলিস্তিনিরা সীমানা প্রাচীরের ৩০ মিটারের কাছাকাছি এলে ইসরাইলি স্নাইপাররা গুলি ছুড়লে ওই নিহতের ঘটনা ঘটে।

গত শুক্রবার মাথায় গুলি লেগে আহত হওয়া এক ব্যক্তি গতকাল শনিবার সকালে মারা যায়। ওই ব্যক্তি নিহতদের মধ্যে চতুর্থ বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস বলেন, ‘এবারই প্রথম আমরা সীমানা প্রাচীরে এমন নিয়মতান্ত্রিক এবং সুশৃঙ্খল হামলা দেখতে পাচ্ছি। আমরা কোনোভাবেই এমন অবস্থা সহ্য করব না। খুব দ্রুত এগোচ্ছিল তারা এবং মনে হচ্ছিল তারা জানে কী করতে যাচ্ছে। প্রাচীর অতিক্রম করলে বিপদ হতে পারে জেনেও তারা তা অমান্য করছিল।’

গত ৩০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ আরো তিন সপ্তাহ ধরে চলবে এমন আশা করছে গাজা-ইসরাইল সীমান্তে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীরা। ফিলিস্তিনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখনো প্রতিদিন মানুষ জড়ো হচ্ছে বিক্ষোভে। এখন পর্যন্ত চল্লিশের অধিক সাধারণ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গুলিতে। গতকাল সকালে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে সীমানা প্রাচীর লক্ষ করে পেট্রল বোমা ছোড়া হয় বলে জানা যায়। তবে ইসরাইলি বাহিনী বলছে, বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনের হাতে পিস্তল দেখা যায়। রক্তাক্ত টিশার্ট পরিহিত ২৬ বছর বয়সী ইব্রাহিম শাহিন নিউইয়র্ক টাইমসকে জানায়, ‘নিহতদের মধ্যে একজন আমার কাঁধে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। বিক্ষোভরত একটি দলের ওপর ইসরাইলি বাহিনী গ্রেনেড হামলা চালায়। সৌভাগ্যক্রমে আমি বেঁচে যাই।’ গত শুক্রবার গাজা-ইসরাইল সীমান্তের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় সহিংসতার মাত্রা বৃদ্ধি পায় বেশি। ওই এলাকার কারনি ক্রসিং থেকেই মূলত ২০১১ সাল পর্যন্ত গাজা এবং ইসরাইলের মধ্যে পণ্য আনা নেওয়া হতো।

হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতা ইসমাইলি রাদওয়ান শুক্রবারের ভাষণে বলেন, ‘আমরা বুদ্ধিমান এবং আমরা শহীদ হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা নিক্কি হ্যালিকে, নেতানিয়াহুকে, অপরাধী লিবারম্যানকে বলতে চাই- আমরা মৃত্যুকে বা শহীদ হতে ভয় পাই না।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads