• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন

হুশিয়ারি ওয়াশিংটনের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৫ মে ২০১৮

দক্ষিণ চীন সাগরে বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সংবাদে গত বৃহস্পতিবার চীনকে হুশিয়ারি জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগরে দেশটির মাত্রাতিরিক্ত সামরিকীকরণে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন বলেও জানিয়েছে সিএনএন।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার মতে, সাম্প্রতিক সামরিক মহড়াকে কাজে লাগিয়ে চীন তিনটি কৃত্রিম দ্বীপে জাহাজ এবং বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিএনএনকে জানায় যে, এটা এখনো নিশ্চিত নয় যে গত এপ্রিলের মহড়ার পরেও ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মোতায়েন করা রয়েছে কি না।

দক্ষিণ চীন সাগরের সীমানা ও আধিপত্য নিয়ে ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ছাড়াও আরো কয়েকটি দেশের সঙ্গে চীনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যিক রুট হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলোর স্বার্থও জড়িত দক্ষিণ চীন সাগরে। এমন অবস্থায় স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জে চীনের মিসাইল মোতায়েনকে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব সারাহ সান্ডার্স জানান, ‘চীনের পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ বাড়ছে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিকীকরণ নিয়ে আমরা সকলেই সচেতন। চীনের বিরুদ্ধে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

সিএনবিসির রিপোর্ট অনুসারে চীনা সেনাবাহিনী সুবি রিফ, ফেরি ক্রস রিফ এবং মিসচিফ রিফে অস্ত্র মোতায়েন করেছে। চীনের মোতায়েনকৃত ওয়াইজে-১২ বি জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ২৯৫ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা জাহাজে আঘাত হানতে সক্ষম। গতকাল শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুখপাত্র হুয়া চুনিং জানান, চীনের স্বার্থেই কৃত্রিম দ্বীপে জাতীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে চীন উডি দ্বীপে একই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছিল। এ ছাড়া গত এপ্রিলে স্পার্টলি দ্বীপে সামরিক রাডার জ্যামিং সরঞ্জাম মোতায়েন করে চীন। ওই একই মাসে সাগরে অস্ট্রেলিয়ার যুদ্ধজাহাজকে তাড়া করেছিল চীনের নৌবাহিনী। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রও ক্রমাগত দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিকীকরণ করে যাচ্ছে।

এদিকে জিবুতিতে অবস্থিত চীনা সামরিক ঘাঁটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান লক্ষ্য করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লেজার লাইট ব্যবহার করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লেজার লাইটের কারণে ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর দুই সদস্য আহত হয়েছে বলেও জানা যায়। পেন্টাগন মুখপাত্র ডানা ডব্লিউ হোয়াইট গত বৃহস্পতিবার জানান, লেজার লাইট ব্যবহার সংক্রান্ত ঘটনা তদন্তে চীনকে অনুরোধ জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads