• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

আবারো দ্বিতীয় নৌবহর প্রতিষ্ঠা করছে যুক্তরাষ্ট্র 

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৬ মে ২০১৮

আটলান্টিক মহাসাগরে রাশিয়ার বাড়তে থাকা সামরিক প্রভাব মোকাবেলা ও নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য দ্বিতীয় নৌবহর পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনী। সাত বছর আগে ভেঙে দেওয়া হয় বহরটি। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল জন রিচার্ডসন স্থানীয় সময় শুক্রবার এ কথা জানান। খবর বিবিসি ও সিএনএন।

তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তা পরিবেশ ক্রমাগত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও জটিল হয়ে ওঠায় আমরা আবারো পুরনো অবস্থায় ফিরে যাচ্ছি। আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং এটি কীভাবে আরো কার্যকর যুগোপযোগী করা যায় তা খতিয়ে দেখছে। বিশেষ করে, পূর্ব উপকূলে ও আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে নির্ধারিত জাহাজ, বিমান ও অবতরণ বাহিনীগুলোর কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কর্তৃত্ব দ্বিতীয় নৌবহরের অধীনে থাকবে। 

দ্বিতীয় নৌবহরের কমান্ড সেন্টার হবে ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের নরফোকে। প্রথমে ১৫ জন কর্মকর্তাকে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হলেও শেষ পর্যন্ত এ সংখ্যা ২০০ জনে দাঁড়াবে। দ্বিতীয় নৌবহরের নেতৃত্ব কে দেবেন এবং কী ধরনের সামরিক সরঞ্জাম থাকবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। খরচ কমানো ও সাংগঠনিক কাঠামোর কারণে ২০১১ সালে দ্বিতীয় নৌবহর ভেঙে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইউক্রেইন ও সিরিয়া যুদ্ধে রাশিয়া নিজেদের সামরিক সামর্থ্য জাহির করা শুরু করলে মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের সামরিক উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে।

চলতি বছরের শুরুতে নতুন এক জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশলপত্রে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, রাশিয়া ও চীনের মোকাবেলা করাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে ইসলামপন্থি জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইকে গুরুত্ব দেওয়ার পর নতুন প্রতিরক্ষা কৌশলের ঘোষণা দেয় দেশটি।

নতুন ওই কৌশলপত্র উপস্থাপনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস চীন ও রাশিয়াকে সংশোধনবাদী শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া দেশ দুটি তাদের স্বৈরাচারী মডেলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তুলতে চাইছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সাবেক সোভিয়েত আমলের চেয়ে রাশিয়ার বর্তমান নৌবাহিনী আকারে ছোট হলেও বাল্টিক সাগর, উত্তর আটলান্টিক ও আর্কটিক মহাসাগরে তাদের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads