• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

বিদেশ

সিরিয়ায় শেষ বড় ঘাঁটি ছাড়ছে বিদ্রোহীরা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০১৮

সিরিয়ায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ঘাঁটি ছেড়ে গেছে তারা। হামাস ও হোমসের মাঝামাঝি ওই জায়গা থেকে গতকাল মঙ্গলবার কয়েক হাজার পরিবার চলে গেছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থক রুশ বাহিনীর সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী এসব বিদ্রোহীকে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়।

দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ থাকার পর সরকারি বাহিনী অভিযানের মুখে ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হলো বিদ্রোহীরা। এখানেই কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর রাস্তান অবস্থিত।  

এ বিষয়ে বাশার বিরোধী ফ্রি সিরিয়ান আর্মির (এফএসএ) নেতা ও রুশ জেনারেলদের মধ্যে ২ মে থেকে আলোচনা শুরু হয়। দীর্ঘ আলোচনার পর বিদ্রোহীরা এলাকাটি ছেড়ে দিতে সম্মত হয়। তবে শর্ত হিসেবে তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ইদলিবে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এলাকা ছাড়ার আগে ভারী অস্ত্রশস্ত্র জমা দিলেও ইদলিব যাওয়ার পথে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের হালকা অস্ত্র বহন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চুক্তিতে রাজি হওয়ার আগে রাশিয়ার বিমানগুলো বিদ্রোহীদের দখলে থাকা এলাকাটিতে ব্যাপক বোমা হামলা চালায়। আন্তর্জাতিক মহল এই হামলার সমালোচনা করে বলেছে, বেসামরিকদের জীবনের মূল্য হিসেবে বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনো সুযোগ রাখেনি রুশ বাহিনী। বিদ্রোহীদের ওই এলাকা ছেড়ে যেতে দুই দিনের মতো লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এলাকায় প্রায় তিন লাখের মতো বাসিন্দা রয়েছে।

বিবিসি বলছে, বিদ্রোহীদের ছেড়ে দেওয়া শেষ বড় ঘাঁটি এটি। হোমসের ভেতর দিয়ে আলেপ্পো ও দামেস্ককে সংযুক্ত করেছে এম ফাইভ নামে পরিচিত ওই মহাসড়কটি। ছিটমহলটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সাত বছরের গৃহযুদ্ধে সিরিয়া পুনরুদ্ধারের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল বাশার বাহিনী। সিরিয়ার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের কিছু অংশই এখন কেবল বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকল। এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইদলিবের দিকে বিদ্রোহীদের মনোযোগী হতে হবে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। পূর্ব গৌতা ছেড়ে যাওয়া হাজার হাজার যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা গত মাসেই বাশারবিরোধীদের সবচেয়ে শক্ত এ ঘাঁটিটিতে পৌঁছেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads