• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সংরক্ষিত ছবি

বিদেশ

পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০১৮

ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক অবরোধের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। হোয়াইট হাউসের ডিপ্লোমেটিক কক্ষে  মঙ্গলবার চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। 

বারাক ওবামার শাসনকালে ২০১৫ সালে করা চুক্তিটিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ক্ষয়ে যাওয়া, পচা’ বলে মন্তব্য করে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে করা এই পরমাণু চুক্তির কারণে মার্কিন নাগরিক হিসেবে আমি লজ্জিত।’ 

বিবিসি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই ঘোষণার বিরোধিতা করেছে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি। এক বিবৃতিতে এই রাষ্ট্রগুলো ট্রাম্পের ওই য়োষণার বিপরীতে তাদের বিরোধী অবস্থান পরিষ্কার করেছে।  তবে ইসরায়েল, সৌদি আরব ট্রাম্পের চুক্তি বাতিলের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

ট্রাম্পের চুক্তি বাতিলের হুমকির প্রতিক্রিয়ায় ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, প্রাথমিকভাবে কিছু সমস্যা হলেও বিশ্বের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে তার দেশ। তেহরানে মঙ্গলবার সকালে  এক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় দু-তিন মাস কিছু সমস্যা হলেও তা ‘কাটিয়ে ওঠা যাবে’। তবে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সচিব বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত সৃষ্টি করলে ইরান বসে থাকবে না।

ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির করা পরমাণু চুক্তি থেকে যেকোনো সময় যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার বিবেচনায়, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে চুক্তি। ২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারণার সময়ও ট্রাম্প এই চুক্তি বাতিল করার প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন।

ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশগুলো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এই চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। দীর্ঘ আলোচনার পর এই চুক্তিতে পৌঁছায় সব পক্ষ। 

ইরানের সঙ্গে হওয়া এই পরমাণু চুক্তির আনুষ্ঠানিক নাম জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ)। চুক্তি মোতাবেক ইরান পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়েছিল। তেজস্ক্রিয় পদার্থ ইউরেনিয়ামের মজুত কমিয়ে আনতে রাজি হয় দেশটি। এই ইউরেনিয়াম পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ ছাড়া ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার জন্য ব্যবহৃত সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা কমিয়ে আনার শর্তও ছিল চুক্তিতে।

এসব শর্ত মেনে চলার বদলে ইরানের ওপর আরোপ করা বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। বিশেষ করে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউয়ের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। এসব নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অর্থনীতি সংকুচিত হয়ে পড়েছিল। পরমাণু চুক্তি হওয়ার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ পায় ইরান। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশে বাজেয়াপ্ত থাকা কোটি কোটি ডলারের সম্পদের অধিকারও ফিরে পেয়েছিল দেশটি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads