• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

তেলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী

সংরক্ষিত ছবি

বিদেশ

ইরান চুক্তি থেকে সরলো যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক তেলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১১ মে ২০১৮

ইরান চুক্তি থেকে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্র। এতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে দেশটির ওপর। এ অবস্থায় ইরান থেকে জ্বালানি তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে বৃহস্পতিবার পণ্যটির দামে দেখা গেছে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা।

বৈশ্বিক তেল সরবরাহের ৪ শতাংশ আসে ইরান থেকে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচিতে লাগাম দিতে ২০১৫ সালে নিরাপত্তা পরিষদের ৫ স্থায়ী সদস্য ও জার্মানির সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি করেছিল ইরান। মঙ্গলবার এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পর থেকেই বাড়তে শুরু করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক দর।

ফিউচার মার্কেটে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্টের দাম সর্বোচ্চ ২৯ সেন্ট বেড়ে বিক্রি হয় ৭৭ ডলার ৫০ সেন্টে। এর মধ্য দিয়ে চলতি সপ্তাহের প্রথম চার দিনে পণ্যটির দাম বাড়ল সাড়ে তিন শতাংশ, যা এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ের পর সর্বোচ্চ সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধি। এ ছাড়া ফিউচার মার্কেটে একই পরিমাণ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) জ্বালানি তেলের দাম ৪২ সেন্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ ডলার ৫৬ সেন্টে। চলতি বছরের আগামী দিনগুলোয়ও জ্বালানি তেলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির বিরোধীদের নিষেধাজ্ঞার কবল থেকে রক্ষা পাবে ইরান। এ বিষয়ে জ্বালানিবিষয়ক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান এফজিইর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ফেরেইডান ফেশারাকি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেবে না ইউরোপ ও চীন। এ নিষেধাজ্ঞায় তাদের অভিযোগ থাকলেও মেনে নেবে। তিনি আরো বলেন, রফতানির পরিমাণ দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেলে সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশনা আবারো আরোপ করা হতে পারে ইরানের ওপর। আগেও দেশটির তেল রফতানি দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেলে বেঁধে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে সরবরাহ চাপ বাড়ায় বছর নিম্নমুখী প্রবণতায় ছিল তেলের বাজার। এ সময় সরবরাহ ও চাহিদায় ভারসাম্য রক্ষার মাধ্যমে বাজারদর বাড়াতে পণ্যটির উত্তোলন কমানোর পদক্ষেপ নেয় শীর্ষ রফতানিকারক সৌদি আরব ও রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রে তেল উৎপাদন বাড়ছে। ফলে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার দরুন তেলের সরবরাহ কমবে না বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।

এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মঙ্গলবার দেশটির দৈনিক তেল উৎপাদনের পূর্বাভাস ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল নির্ধারণ করেছে। সংস্থাটি বছরের আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তেল উৎপাদনের পূর্বাভাস বাড়াচ্ছে। এখন বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল উৎপাদক যুক্তরাষ্ট্র। এর পরেই রাশিয়া ও সৌদি আরবের অবস্থান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads