• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

মিয়ানমারে সেনা ও বিদ্রোহী সংঘর্ষে নিহত ১৯

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৩ মে ২০১৮

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান প্রদেশে সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, চীন সীমান্তের প্রধান ফটকের কাছে গতকাল শনিবারের এ লড়াইয়ে আরো অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

ভোরে শান রাজ্যের সীমান্ত শহর মুসেতে সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি ক্যাসিনো এবং কাছের একটি সেনাপোস্টে একযোগে এ হামলা হয়। তাং বা পালাউং আদিবাসী যোদ্ধাদের দল তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) হামলার দায় স্বীকার করেছে। টিএনএলএ’র মুখপাত্র মেজর মাই আইক কিয়া বলেন, শনিবার ভোর ৫টায় তিনটি স্থানে লড়াই হয়েছে। মুসে এলাকায় দুটি সেনা ঘাঁটির কাছে এবং আরেকটি লাশিও শহরে যাওয়ার পথে একটি সেতুর কাছে। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর দেশটির সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন নিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গত মাস থেকে উত্তরাঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে।

এর আগে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন ও ভারত সীমান্তের কাচিন প্রদেশে সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে বাঁচতে এপ্রিলের প্রথমদিকে প্রায় ছয় হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন আদিবাসী সংখ্যালঘুদের বিরোধ দীর্ঘদিনের। বৌদ্ধ প্রধান দেশটির সংখ্যালঘু কাচিনরা খ্রিস্ট ধর্মের অনুসারী। নিজেদের অঞ্চলগুলোর অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে ১৯৬১ সাল থেকে পাহাড়ি উত্তরাঞ্চলের আদিবাসী গোষ্ঠী লড়াই করে আসছে।

এ লড়াইয়ে কাচিন ও উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য শান থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সরকারের মুখপাত্র জ হতাই বলেন, ভোরে প্রায় ১০০ সন্ত্রাসী ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ও কামান নিয়ে হামলা করে। হামলায় দুই নারীসহ ১৫ বেসামরিক নিহত এবং আরো অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এক পুলিশ কর্মকর্তা এবং তিন সেনা সদস্যও এ হামলায় নিহত হয়েছেন।

সন্ত্রাসীরা বেসামরিক নাগরিকদের উপর হমলার পর পালিয়ে গেছে। এটা আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার আন্দোলন নয়- সন্ত্রাসী হামলা। এ বিষয়ে টিএনএলএ মুখপাত্র বলেন, তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ক্যাসিনোতে থাকা সেনা সদস্যরা। তবে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে বেসামরিক নাগরিকরা প্রাণ হারাতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads