• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ

পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে উত্তেজনা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৪ মে ২০১৮

কূটনীতিকদের চলাফেরা সীমাবদ্ধ করতে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ গ্রহণকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই অবস্থার মধ্যেই শনিবার পাকিস্তানে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের এক কূটনীতিককে (অ্যাটাসে) দেশে যেতে দেয়নি ইসলামাবাদ। ওই কূটনীতিকের গাড়ির ধাক্কায় এক পাকিস্তানি নিহত হন। খবর বিবিসি।

ইসলামাবাদে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ওই কূটনীতিককে দেশে যেতে না দেওয়া নিয়ে প্রকাশিত খবরের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আর ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বিষয়টি নিশ্চিতও করেনি আবার অস্বীকারও করেনি। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, এর সঙ্গে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা জড়িত। ওই কূটনীতিকের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে আমরা কিছু জানাতে পারব না। 

আদালতের মতে, ৭ এপ্রিল যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তাতে ওই অ্যাটাসের ক্ষেত্রে আর কূটনৈতিক নিরাপত্তা (ইমিউনিটি) খাটে না। ওইদিন অ্যাটাসের গাড়ির ধাক্কায় ২২ বছর বয়সী এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। শনিবার ইসলামাবাদের বাইরে নুর খান বিমানঘাঁটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর সি-১৩০ মডেলের বিমানে ওই অ্যাটাসের দেশে ফেরার কথা। কিন্তু আদালতের রায়ের পর ওই অ্যাটাসেকে ছাড়াই ফিরে যায় বিমানটি। এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু না জানালেও, কূটনীতিকদের চলাফেরায় বিধি-নিষেধ আরোপের বিষয়টি শনিবার নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।

এর এক দিন আগে (শুক্রবার) যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের চলাফেরা সীমাবদ্ধ করে দেয় পাকিস্তান। দেশটিতে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সেদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি কূটনীতিকদের চলাফেরার ওপর ট্রাম্প সরকার যে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে, একই বিধি-নিষেধ পাকিস্তানে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে অবস্থানরত পাকিস্তানি কূটনীতিকদের চলাফেরার ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ হয়। ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, পাকিস্তানি কূটনীতিকরা কর্মস্থল থেকে ২৫ মাইলের (৪০ কিলোমিটার) বেশি ভ্রমণ করতে পারবেন না। এর বেশি পথ পাড়ি দিতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। ওয়াশিংটনের এই উদ্যোগের জবাব হিসেবেই পাল্টা পদক্ষেপ নেয় ইসলামাবাদও।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে দেওয়া সাহায্য বন্ধের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। আফগানিস্তানে তালেবানবিরোধী অভিযান শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে পাকিস্তান। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, পাকিস্তানই তালেবান নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। যদিও দেশটি এ অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াতে দেশটিকে দেওয়া সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads