• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
আয়ারল্যান্ডে গর্ভপাতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে রায়

গর্ভপাতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে রায় দিয়েছে আয়ারল্যান্ডের জনগণ

ইন্টারনেট

বিদেশ

আয়ারল্যান্ডে গর্ভপাতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে রায়

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৮ মে ২০১৮

গর্ভপাতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে রায় দিয়েছে আয়ারল্যান্ডের জনগণ। গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত গণভোটে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পক্ষে ভোট পড়েছে ৬৬.৪ শতাংশ। আর গর্ভপাত বহাল রাখার পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৩.৬ শতাংশ। স্থানীয় সময় গত শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ডাবলিন ক্যাসেলে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। খবর বিবিসি।

বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে গর্ভপাত আইনত নিষিদ্ধ। কেউ গর্ভপাত করালে ১৪ বছর জেল এবং জরিমানার বিধান রয়েছে। ১৯৮৩ সালে গণভোটের মাধ্যমে গর্ভপাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। দেশটির অষ্টম সংবিধান সংশোধনী অনুযায়ী, গর্ভস্থ শিশু এবং মায়ের জীবনের সমানাধিকার রয়েছে। এর ফলে প্রায়ই নারীরা নানা ধরনের জটিলতার মুখে পড়ছে।

দেখা গেছে, আইনি জটিলতার ভয়ে গর্ভস্থ ভ্রুণ নষ্ট হওয়ার পরও গর্ভপাত করাতে রাজি হয়নি সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল। এর জেরে প্রাণহানি হয়েছে অনেক মায়ের। ২০১২ সালে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক সবিতা হলপ্পনাবার অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। তার গর্ভপাত করানো জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু হাসপাতালগুলো গর্ভপাত করাতে রাজি না হওয়ায় ১৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা সবিতার মৃত্যু হয়।

এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয় দেশটিতে। শুরু হয় গর্ভপাতের পক্ষে বিক্ষোভ-সমাবেশ। বিক্ষোভকারীরা ১২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভপাত করানোর অনুমতির পাশাপাশি প্রয়োজনে ২৪ সপ্তাহ পর্যন্তও গর্ভপাত করানোর অনুমতি দাবি করে। ব্যাপক চাপের মুখে গণভোটের আয়োজন করে সরকার। সাধারণ জনগণের পাশাপাশি আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকারও গর্ভপাতের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। ফলাফল ঘোষণার পর একে ঐতিহাসিক দিন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে নীরব বিপ্লব হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads