• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
ইতালির অর্ন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী কোটারেল্লি

সাবেক আইএমএফ কর্মকর্তা কার্লো কোটারেল্লি

ইন্টারনেট

বিদেশ

ইতালির অর্ন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী কোটারেল্লি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৯ মে ২০১৮

সাবেক আইএমএফ কর্মকর্তা কার্লো কোটারেল্লিকে অর্ন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাতারেল্লা। এই প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই দেশটির আগামী বাজেট এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। সোমবার আইএমএফ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের পরই প্রেসিডেন্ট এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আগেই ধারণা করা হয়েছিল, মাতারেল্লা হয়তো কোটারেল্লিকে সরকার গঠন করতে বলতে পারেন। কিন্তু সংসদে তাকে অনুমোদন পেতে বেশ বেগ পেতে হবে। কারণ এমফাইভএস এবং লেগা কোটারেল্লিকে সরকার গঠন করতে সহজে দেবে না। ফলে মাতারেল্লি সাংবিধানিক সমস্যায় পড়তে পারেন এবং আগামী শরতে দেশটিতে আবারো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

এর আগে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসনের ডাক দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী হিসেবে ৮১ বছর বয়সী সাবেক শিল্পমন্ত্রী পাওলো সাভোনাকে মনোনয়নের বিরোধিতা করায় ইইউপন্থি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এই অভিশংসনের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইউরোতে প্রবেশ করা ইতালির জন্য ঐতিহাসিক ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে মনে করেন পাওলো সাভোনা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইতালির ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ নিয়ে পুরাতন বিতর্কের খেসারত দিতে হতে পারে মাতারেল্লাকে। এমফাইভএস নেতা লুইগি ডি মাইয়ো সংবিধানের ৯০ ধারা অনুসারে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের ডাক দিয়েছেন। এখন সংসদে যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পাওয়া যায় এই অভিশংসনের পক্ষে, তাহলে দায়িত্ব থেকে প্রেসিডেন্টকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। তবে অভিশংসনের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

দেশটির সংবিধান অনুসারে মন্ত্রিসভায় সদস্যদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইতালির অবস্থান প্রশ্নে মাতারেল্লির সঙ্গে পপুলিস্ট দলগুলোর মতবিরোধ থাকায় প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত হুমকির মুখে পড়েছে। দুই দলের পক্ষ থেকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গুইসেপ কন্টেকের নাম প্রস্তাব করা হয়। ওই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতেই গুইসেপ নতুন মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আলোচনায় প্রেসিডেন্ট পাওলো সাভোনার নিয়োগ প্রশ্নে আপত্তি তোলেন। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ বেশিদিন টিকিয়ে রাখা যাবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

মাতারেল্লা বলেন, ‘আমি জোটের দলগুলো থেকে এমন একজন আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম প্রস্তাব করতে বলেছিলাম যাকে ইতালির ইউরোবিরোধী সমর্থকদের মধ্যে দেখা যায়নি। ইউরোতে ইতালির বিতর্কিত অবস্থান নিয়ে ইতালি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।’

কিন্তু লেগার প্রধান সালভানির মতে, ‘গণতন্ত্রে, আমরা যদি সত্যিই গণতন্ত্রে থেকে থাকি তাহলে ইতালির জনগণকে তাদের কথা বলতে দেওয়া উচিত। ইতালি কলোনি ছিল না। আমরা কী করব তা জার্মানি বলে দিতে পারে না।’

এমফাইভএসের প্রধান ডি মাইয়ো বলেন, ‘এই দেশে আপনি চিহ্নিত অপরাধী হতে পারেন, একজন ঋণখেলাপি হতে পারেন। একজন দুর্নীতির অপরাধে অভিযুক্ত মন্ত্রীও হতে পারেন। কিন্তু যদি আপনি ইউরোপকে নিয়ে সমালোচনা করেন, তাহলে আপনি একজন অর্থমন্ত্রী হতে পারবেন না। আমি আশা করি, আমরা ইতালির জনগণকে জায়গা করে দিতে পারব। এ জন্য আগে আমাদের পরিষ্কার করতে হবে। প্রথমেই মাতারেল্লাকে অভিশংসন এবং এরপর নির্বাচন।’

গত মার্চের জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী থেকে এখনোও ইতালি সরকারহীন অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় কোনো রাজনৈতিক দলই সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। যদিও একটি ডানপন্থি পার্টি লেগার সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠনের পাঁয়তারা করছে ফাইভ স্টার পার্টি (এমফাইভএস)।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads