• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
আজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস

শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশীরা

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

আজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ২৯ মে ২০১৮

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ৫৮ বছর পূর্তি আজ। বিশ্বজুড়ে দিবসটি নানা আয়োজনে উদযাপন করছে জাতিসংঘ। ১৯৬০ সালে ইথিওপিয়ায় শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলাদেশ এ মিশনে যোগ দেয় ১৯৮৯ সালে। নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছে বাংলাদেশও। একই সঙ্গে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে অংশ নেওয়ার তিন দশকের এ মিশনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শহীদ সহযোদ্ধাদের দুঃখ-স্মৃতিও। মিশনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন বাংলাদেশের ৮৮ সদস্য।

বিচ্ছিন্নতাবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমিয়ে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘের ৫১ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু হয় শান্তিরক্ষা কার্যক্রম। বর্তমানে এ শান্তি মিশনের সদস্য দেশ ১৯৩। ১৯৬০ সালে ইথিওপিয়া মিশনের মাধ্যমে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শুরু করে জাতিসংঘ। এরপর পর্যায়ক্রমে লাইবেরিয়া, কঙ্গো, সুদান, মালি, দারুফুর, আফগানিস্তান, পূর্ব তিমুর, সিয়েরা লিওনসহ বিশ্বের ২১টি দেশে চলেছে এই কার্যক্রম। বর্তমানে ১১৬টি দেশের ১ লাখ ১১ হাজার ৫১২ জন সদস্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী পরিচালিত হচ্ছে বিশ্বসংস্থাটির শান্তিরক্ষা মিশন। বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের পর ১৯৮৯ সালে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেয়। তখন মিশনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫৩ জন সদস্য ছিলেন বাংলাদেশের। বর্তমানে মিশনে বাংলাদেশের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি- ১০ হাজার ৫৭৪।

শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের প্রশংসনীয় ভূমিকায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর তালিকায় এখন শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। নতুন কোনো মিশন হলে প্রথমেই বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠায় জাতিসংঘ। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ২১টি দেশে শান্তিরক্ষী পাঠিয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে- নামিবিয়া, কম্বোডিয়া, যুগোস্লাভিয়া, আফগানিস্তান, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, হাইতি, অ্যাঙ্গোলা, পূর্ব স্লোভেনিয়া, বসনিয়া, পূর্ব তিমুর, কসোভো, সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া, আইভরি কোস্ট, কঙ্গো, দারফুর, দক্ষিণ সুদান, মালি, বুরুন্ডি ও সোমালিয়া।

একাগ্রতা, নিষ্ঠা, কর্তব্যপরায়ণতা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে প্রথম বছরেই জাতিসংঘের আস্থা অর্জনে সক্ষম হন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা। এরপর প্রতিবছরই বাড়ে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের চাহিদা। পরে এ মিশনে যুক্ত হন বাংলাদেশ পুলিশের মহিলা সদস্যরাও।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপনের কর্মসূচি ‘পিসকিপার্স রান’-এর মাধ্যমে এবং দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ শান্তিরক্ষীদের নিকট-আত্মীয় ও আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ উপস্থাপনার আয়োজন করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), পুলিশের মহাপরিদর্শক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads