• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
স্পার্টলি দ্বীপে উড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বি-৫২

যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বি-৫২

ইন্টারনেট

বিদেশ

স্পার্টলি দ্বীপে উড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বি-৫২

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৭ জুন ২০১৮

দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিম স্পার্টলি দ্বীপের ওপর চক্কর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বি-৫২ বোমারু বিমান। চীন সাগরে পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে ওই দুটি বিমানকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে ইউএস প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সিএনএন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাত্তিসের চীন সাগর সংক্রান্ত বক্তব্যের পরেই ওই দুটি বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। ম্যাত্তিস বলেছিলেন, ইন্দো-প্যাসিফিকে থাকবে আমেরিকা। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয়টি দেখছে হোয়াইট হাউজ।

তিনি আরো বলেন, আগামী বছরগুলোতে চীন বেশ চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগের মুখোমুখি হবে। চীন দীর্ঘমেয়াদে এই অঞ্চলে শান্তি এবং উন্নতি চাইলে সেই অনুসারে আমরা সমর্থন দিতে প্রস্তুত আছি।

অবশ্য ওই দুটি বিমান রুটিন প্রশিক্ষণ মিশনের অংশ হিসেবে চীন সাগরে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের এক মুখপাত্র। যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম বিমানঘাঁটি থেকে যুক্তরাজ্যের দিয়েগো গার্সিয়া নৌঘাঁটি পর্যন্ত নিয়মিত মহড়া দিচ্ছে বোমারু বিমান দুটি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র বহির্বিশ্বে বোমা হামলা পরিচালনার জন্যই বি-৫২ বিমান ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের নামে বোমারু বিমান পরিচালনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উসকানি হিসেবে দেখছে চীনা কর্তৃপক্ষ। যদিও পেন্টাগন মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল ক্রিস লোগান জানান, ২০০৪ সালের মার্চ মাস থেকেই নিয়মিত ইউএস প্যাসিফিক কমান্ডের সিবিপি মিশনের অংশ হিসেবে ওই বিমান দুটি আন্তর্জাতিক আইন মেনে পরিচালিত হচ্ছে।

স্পার্টলি দ্বীপটিকে উড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না সংবাদিকরা এমন এক প্রশ্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেনেথে ম্যাকেনজিকে। জবাবে তিনি বলেন, আমি শুধু বলব পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে এমন ছোট দ্বীপ উড়িয়ে দেওয়ার বেশ অভিজ্ঞতা আছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর।

এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়াং দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা বৃদ্ধি থামানোর আহ্বান জানান। এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, যদি কেউ ক্রমাগত আপনার বাড়ির চারপাশে পেশিশক্তি দেখাতে থাকে, তাহলে আপনার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাড়ানো ছাড়া উপায় থাকে কি? চীন কোনো বিমান অথবা জাহাজের ভয়ে ভীত নয়। দক্ষিণ চীণ সাগরে আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি।

স্পার্টলি দ্বীপের মালিকানার দাবি জানিয়ে আসছে বেইজিং। যদিও চীনের পার্শ্ববর্তী দেশ মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং তাইওয়ানও ওই দ্বীপটিকে নিজেদের দাবি করছে। চীন বিগত কয়েক বছরে স্পার্টলি দ্বীপে বিভিন্ন সামরিক অবকাঠামো স্থাপন করেছে। এর মধ্যে জাহাজ এবং বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads