• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
বৈঠক ঘিরে সিঙ্গাপুরের আকাশে বিধিনিষেধ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন

সংরক্ষিত ছবি

বিদেশ

বৈঠক ঘিরে সিঙ্গাপুরের আকাশে বিধিনিষেধ

উত্তর কোরিয়া যাচ্ছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালকৃষ্ণান

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৮ জুন ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের মধ্যকার বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠককে কেন্দ্র করে তিন দিনের জন্য সিঙ্গাপুরের আকাশসীমায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। দেশটির প্লেন চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে ট্রাম্প-কিমের বৈঠককে কেন্দ্র করে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালকৃষ্ণান দুই দিনের সফরে উত্তর কোরিয়া যাচ্ছেন। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি গুলিয়ানি দাবি করেছেন, কিমের কাতর অনুরোধেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ১২ জুন বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন। খবর বিবিসি ও সিএনএন। 

আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যাভিয়েশন সংস্থা (আইসিএও) ও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন প্রশাসনও (এফএএ) তাদের ওয়েবসাইটে এই বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়, ১২ জুন সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের ক্যাপেলা হোটেলে ট্রাম্প-কিমের বৈঠক ঘিরে সেদিন ও তার আগে-পরের ১১ ও ১৩ জুন নিরাপত্তাজনিত কারণে আকাশসীমায় প্লেন চলাচলে বিধিনিষেধ থাকবে।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই বিধি আরোপের ফলে এশিয়ার ব্যস্ততম চাঙ্গি বিমানবন্দরের ফ্লাইট পরিচালনায় কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হতে পারে। এ আশঙ্কা থেকে সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষও যাত্রীদের বিলম্ব হতে পারে বলে আগাম বার্তা দিয়ে রেখেছে। বৈঠকের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১০-১৪ জুন দেশটির কিছু অংশকে বিশেষ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, বেশকিছু হোটেল এবং সেন্তোসা দ্বীপ। এদিকে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালকৃষ্ণান দুই দিনের সফরে উত্তর কোরিয়া যাচ্ছেন।

সিঙ্গাপুর সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তর কোরিয়ার নেতা রিং ইয়ং হো এবং সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট কিম জং নামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এর আগে গত সপ্তাহে সিঙ্গাপুরের এই নেতা ওয়াশিংটন সফর করেন। দুই নেতার এ বৈঠককে ঘিরে বিশ্ব রাজনীতিতে তুমুল আলোচনা চলছে। এ বৈঠকের ফলে চাপা উত্তেজনা কমবে বলে সবার প্রত্যাশা।

বালকৃষ্ণান বলেন, এর ফলে এ অঞ্চলে শান্তির সুবাতাস বইবে এবং উত্তর কোরিয়া তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাবে। তবে একটা বৈঠকেই কোরিয়ার সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে এমনটা নয়। এটা হচ্ছে শুরু। উল্লেখ্য, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ান নেতারা বৈঠকের জন্য সিঙ্গাপুরকে বেছে নেন। অন্যদিকে ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি গুলিয়ানি বলেছেন, কিমের কাতর অনুরোধেই বাতিল করার পরও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন। ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিয়ংইয়ং হাত গোটাতে বাধ্য হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ইসরাইলে অনুষ্ঠিত এক বিনিয়োগ সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় গুলিয়ানি এসব কথা বলেন। কিম জং উন করজোড়ে হাঁটুগেড়ে অনুনয় করেছেন। এটাই সেই অবস্থান, যেখানে তাকে দেখতে চান আপনি। তার এ মন্তব্য নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উত্তর কোরিয়ার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, এপ্রিলের শেষে দুই কোরিয়ার শীর্ষ সম্মেলনের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কিম জং উনের বৈঠকের সম্ভাবনা দানা বাঁধতে থাকে। ১০ মে ট্রাম্প জানান, উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে ১২ জুন সিঙ্গাপুরে বসছেন তিনি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে লিবিয়া মডেল অনুসরণ করা হতে পারে বলার পর শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads