• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
জি-৭ সম্মেলনে কোণঠাসা যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ইন্টারনেট

বিদেশ

জি-৭ সম্মেলনে কোণঠাসা যুক্তরাষ্ট্র

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৯ জুন ২০১৮

২০১৭ সালেও জি-৭ সম্মেলনের নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু চলতি সম্মেলনে জি-৭-এর সকল নেতার কাছেই ট্রাম্প একটি সমস্যার নাম। গ্রুপ সেভেনের দেশগুলোর কাছে বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যার পেছনের ব্যক্তি ট্রাম্প। এবারের সম্মেলনের উদ্যোক্তা দেশ কানাডার কুইবেকে গতকাল শুক্রবার থেকে দুদিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এবারের সম্মেলনে নীতিনির্ধারণের জায়গায় অনেকটাই কোণঠাসা ট্রাম্প। বিশ্লেষণ সিএনএন।

জানা যায়, সম্মেলনের আজকের সকালের অধিবেশনে জলবায়ু এবং পরিবেশ নিয়ে আলোচনার সময় থাকবেন না ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজ থেকে আগেই বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট শনিবার সকালের অধিবেশনে থাকবেন না। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টুইটারে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিবৃতি দেওয়ার পরই হোয়াইট হাউজ থেকে এমন সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, জি-৭ সম্মেলনে ট্রাম্পের উপস্থিতি প্রশ্নবিদ্ধ হয় যেখানে তিনি বাণিজ্য এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে ভিন্নমত পোষণ করেন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সম্মেলনে ট্রাম্পের উপস্থিতি নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। তবে ট্রাম্প তার টুইটে জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো এবং প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ দয়া করে আপনারা বলুন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ১৫১ বিলিয়ন ডলার এবং কানাডা আমাদের কৃষক এবং অন্যদের বাজার থেকে দূরে রাখছে। দেখুন আগামীকাল কি হয়।’ এবারের জি-৭ এর আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক এবং ইরান চুক্তি থেকে ট্রাম্পের বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। ইরানের সঙ্গে চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর তেহরানের ওপর নতুন অবরোধ জারি করেছে ওয়াশিংটন। ফলে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কিত ইউরোপের ব্যবসায়ীদেরও অবরোধের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইতোমধ্যেই ইউরোপের কয়েকটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করতে শুরু করেছে।

ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লী মেরির বর্ণনা অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র একাই জি-৭-এ সবার বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। তার দৃষ্টিতে এমন অবস্থাকে নতুন করে ‘জি-৬+১’ বলা যেতে পারে। অবশ্য আগেই জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেছিলেন, ট্রাম্পকে ছাড়াই এবার ইউরোপকে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে হবে। সর্বশেষ ইরান চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বের হওয়ার পর সেই কথা আবারো স্মরণ করিয়ে দেন মেরকেল। ট্রাম্পের সবচেয়ে আশাবাদী এবং প্রয়োজনীয় ইউরোপীয় অংশীদার ব্রিটেন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তার ধৈর্যের শেষপর্যায়ে চলে এসেছেন বলে জানিয়েছে টেলিগ্রাফ। সর্বশেষ ফোনকলে থেরেসা ট্রাম্পকে স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়ামের ওপর থেকে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। পাশাপাশি মে এই শুল্ক আরোপকে অনপযুক্ত এবং গভীরভাবে হতাশজনক বলে অভিহিত করেন।

কিন্তু এত কিছুর পরও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে পিছু হটছেন না। কিন্তু তারপরও জি-৭ নেতারা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন গ্রুপ সেভেনের ভবিষ্যৎ প্রশ্নে এবারের সম্মেলনে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads