• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
শরণার্থীদের নিয়ে ঠেলাঠেলির শেষ কোথায়?

এক দেশ অন্যদেশের দিকে ঠেলে দেয় এসব আফ্রিকান শরণার্থীদের

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

শরণার্থীদের নিয়ে ঠেলাঠেলির শেষ কোথায়?

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৬ জুন ২০১৮

ইউরোপে যাওয়ার চোখভরা স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছেড়ে নৌকায় সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে তারা। উত্তাল সমুদ্রে নানা বিপত্তি পেরিয়ে কোনো নৌকা ইউরোপের দেশে পৌঁছালে শুরু হয় নতুন সঙ্কট। কে নেবে তাদের? এক দেশ অন্যদেশের দিকে ঠেলে দেয় এসব আফ্রিকান শরণার্থীদের। খবর আলজাজিরা। 

সাগরে ভাসমান এ শরণার্থীদের নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের ঠেলাঠেলি চলছে বহুদিন ধরেই। তারপরও এর সমাধানে গত রোববার বৈঠকে বসেন ইইউর ১৬ নেতা। শরণার্থীরা ইতালি বা অন্য কোনো দেশে পৌঁছানোর পর কে তাদের দায়িত্ব নেবে তা নির্ধারণে ব্রাসেলসে এই জরুরি বৈঠক হয়। শরণার্থীদের স্রোত একা আর নিতে চাচ্ছে না ইতালি। এ বিষয়ে দেশটির নতুন সরকার ইইউর অন্য দেশগুলোর কাছ থেকেও আরো বেশি সহযোগিতা চায়। এ কারণেই তারা সাগর থেকে শরণার্থীদের উদ্ধারকারী কয়েকটি জাহাজকে নিজেদের সীমানায় ভিড়তে দেয়নি।

বৈঠকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল সমমনা নেতাদের নিয়ে কিছু একটা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। শরণার্থীদের ঢল কমাতে ও অন্য দেশগুলোর মধ্যে তাদের দায়িত্ব ভাগাভাগি নিয়েও কিছু একটা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তারা। ম্যাখোঁর মতে, শরণার্থীদের নিয়ে বর্তমানে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা রাজনৈতিক। যদিও তার এমন কথাবার্তা ভালোভাবে নেয়নি ইতালি। দেশটি চায় সব দেশ যেন সমানভাবে শরণার্থীদের দায়িত্ব নেয়। বৈঠকে কোনো কোনো নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শরণার্থীদের আরেক দফা ঢলে ইউরোপের এক দেশ থেকে আরেক দেশে পাসপোর্টবিহীন চলাফেরার ইতি ঘটবে।

বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী চার্লস মাইকেল বলেন, সেনজেন এরিয়াতে আমরা যদি মুক্তভাবে চলাফেরা করতে চাই তবে আমাদের অবশ্যই সীমান্তে কঠোর হতে হবে। মের্কেলের মতে, অভিবাসীদের নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে তার সম্পূর্ণ সমাধান সম্ভব নয়। তিনি নিজেদের সুবিধার্থে এ ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় বা ত্রিপক্ষীয় চুক্তির দিকে জোর দিতে চান। হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক ও স্লোভাকিয়া শরণার্থীদের নিজ দেশে ঠাঁই দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ব্রাসেলসের বৈঠকে যোগ দেয়নি।

নিজের দেশে সংঘর্ষ, নিপীড়ন থেকে পালিয়ে ইউরোপে ঢুকতে গিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরেছেন বহু শরণার্থী। ২৩৯ আফ্রিকান শরণার্থী নিয়ে বন্দরে ভেড়ার অপেক্ষায় আছে লাইফলাইন নামে একটি জাহাজ। মাল্টা, ইতালি দুটি দেশই জাহাজটিকে ভিড়তে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এর আগে অ্যাকুয়ারিয়াস নামে একটি জাহাজকেও একই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। বহু দর কষাকষির পর ওই জাহাজটি স্পেনের একটি বন্দরে নোঙর করে। উদ্ধারকারী জাহাজ ফিরিয়ে দিয়ে ইতালি দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করেছে বলেও মন্তব্য করেছেন ম্যাখোঁ। ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাতিও সালভিনি বিদেশি দাতব্য সংস্থাগুলোকে লিবিয়া থেকে আসা শরণার্থীদের উদ্ধার করতে নিষেধ করেছেন। এ সংস্থাগুলো মানুষ পাচারে উৎসাহ জোগাচ্ছে বলেও অভিযোগ তার।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads