• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
অভিবাসন নীতিতে ইউরোপ এবং ট্রাম্পে পার্থক্য নেই

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

অভিবাসন নীতিতে ইউরোপ এবং ট্রাম্পে পার্থক্য নেই

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৮ জুলাই ২০১৮

অভিবাসন নীতিমালায় ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গিতে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। ট্রাম্পের ‘জিরো টলারেন্স’ এবং ইউরোপের ‘অভিবাসী ঠেকাও’ নীতিমালার মূল বক্তব্য একই। সম্প্রতি সিএনএনের এক বিশ্লেষণে এমনটা বলা হয়। 

গত জুনে ফ্রান্স সরকারের মুখপাত্র বেঞ্জামিন গ্রিভক্স ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘দুই দেশের সভ্যতার মডেল এক নয়। কখনো যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট মানবিকতা ইস্যুতে এতটা সহমর্মিতা শূন্য হয়নি।’ ওই একই মাসে ট্রাম্প এক টুইটবার্তায় বলেছিলেন, ‘জার্মানিতে অপরাধপ্রবণতা বেড়েই চলেছে। লক্ষাধিক মানুষকে প্রবেশ করতে দিয়ে ইউরোপ বড় ভুল করেছে। তারা ইউরোপের সংস্কৃতি পাল্টে দিচ্ছে।’

দুই পক্ষ যাই বলুক না কেন অভিবাসী ইস্যুতে ইউরোপও সম্প্রতি বেশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এই কঠোর অবস্থানের কারণে চলতি বছরের শুরুতেই ভূমধ্যসাগরে এক হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। এই অভিবাসীদের উদ্ধারে ইউরোপের দেশগুলো আগের মতো উদ্ধার অভিযান চালায়নি। শুধু তাই নয়, বাণিজ্যিক জাহাজ এবং বেসরকারি কোম্পানির জাহাজগুলোকেও অভিবাসীদের উদ্ধার না করতে বলা হয়েছে। সাগর থেকে অভিবাসী উদ্ধারের অভিযোগে মাল্টায় দুটি এনজিও জাহাজকে আটক করা হয়েছে।

ইউরোপ এখন অভিবাসন সমস্যাকে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। ইতালি লিবিয়া উপকূলে অভিবাসীদের ঠেলে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, বৈঠক করে ইইউ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) নেতারা ইউরোপ জুড়ে থাকা শরণার্থী শিবিরগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতদিন পর্যন্ত ইউরোপে শরণার্থীদের বন্ধু হিসেবে পরিচিত জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলও এখন আর আগের অবস্থানে নেই। নিজের জোট এবং আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তাকেও অভিবাসীদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে উত্তর আফ্রিকার কিছু দেশে শরণার্থী শিবির খোলার প্রস্তাব দিয়েছেন। এ ছাড়া বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া এবং স্লোভেনিয়াকে তাদের সীমান্ত সুরক্ষা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যাতে শরণার্থীরা প্রবেশ না করতে পারে।

এক পরিসংখ্যান মতে, ২০১৫ সাল থেকে ইউরোপ শরণার্থী গ্রহণের হার কমিয়ে দিয়েছে। ২০১৬ সালেও ইউরোপে ৩ লাখ ৬০ হাজারের বেশি শরণার্থী প্রবেশ করলেও ২০১৭ সালে প্রবেশ করেছে ১ লাখ ৭২ হাজার। ক্রমশ শরণার্থী প্রবেশের এই সংখ্যা কমছে। ২০১৬ সালের বসন্তে করা অপর এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইতালির ৭০ শতাংশ মানুষের মধ্যে শরণার্থীবিরোধী চেতনা কাজ করছে। শুধু তাই নয়, শরণার্থী ইস্যুতে অনেক দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক রদবদল হচ্ছে। কট্টর ডানপন্থি দলগুলো ক্ষমতায় আসছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads