• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
হেলসিংকিতে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের ‘শুভ সূচনা’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

ছবি: ইন্টারনেট

বিদেশ

হেলসিংকিতে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের ‘শুভ সূচনা’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৬ জুলাই ২০১৮

ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে প্রথমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠককে ‘শুভ সূচনা’ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার আলোচনা শেষে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে ভোজনে অংশ নেন তারা। এর আগে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন ট্রাম্প।  
সোমবার সাক্ষাতের প্রথমেই বিশ্বকাপ ফুটবল সফলভাবে আয়োজনের জন্য পুতিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ট্রাম্প। বলেন, ‘এটি সেরা আয়োজনগুলোর অন্যতম ছিল’।
দীর্ঘদিনের বৈরি সম্পর্ক রয়েছে দেশ দুটির মধ্যে। ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়াকে দখলে নিলে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরো ঝুলে পড়ে।এরপর ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ সেই সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটিয়েছে।
এক টুইট বার্তায় পুতিন লিখেছেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কখনোই খুব খারাপ ছিল না; ধন্যবাদ বহু বছরের মার্কিন বোকামি ও নির্বুদ্ধিতাকে এবং এখনো জুজুর ভয় দেখানো হচ্ছে!’ 

ঐতিহাসিক এই বৈঠকের আগে এক সাক্ষাতে ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন, এর মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে ’অসাধারণ সম্পর্ক’ গড়ে উঠবে। আর যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া উত্তেজনার জন্য আগের প্রশাসনকে দোষ দেন তিনি।    

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার মধ্যে এতো উত্তেজনা কেন?
এজন্য ফিরে যেতে হবে তথাকথিত স্নায়ুযুদ্ধের (১৯৪৫-১৯৮৯)সময়কালে। যুক্তরাষ্ট্র এবং তখনকার সোভিয়েত ইউনিয়ন কখনো যুদ্ধে জড়ায়নি, তবে ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাবার পরেও তাদের মধ্যে পার্থক্য রয়ে গেছে।

বর্তমানে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আবার রাশিয়াকে সেই ক্ষমতায় নিয়ে যেতে চান। কখনো কখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানও নিচ্ছে দেশটি।

২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার পর সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটে। তখন যুক্তরাষ্ট্র এবং আরো কয়েকটি দেশ রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এই দুই নেতার বৈঠক কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ?
২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের পর এই দুই নেতার সম্পর্কের বিষয়টি বিশ্বে সবার নজরদারির মধ্যে রয়েছে। যদিও ওই হস্তক্ষেপের অভিযোগ নাকচ করেছে মস্কো।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করে, মি. ট্রাম্পের পক্ষে রাশিয়া ওই নির্বাচন প্রভাবিত করেছে।

নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা ছিল কিনা এবং মি. ট্রাম্পের শিবির তাতে কোন সহায়তা করেছে কিনা, সেটি নিয়ে তদন্ত করছেন স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলার।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ, নির্বাচনে হারার কারণে এটি ডেমোক্রেটদের একটি ষড়যন্ত্র।

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রচলিত রিপাবলিকান নীতির অনেকটা প্রতিকূলে দাড়িয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আকাঙ্ক্ষার কথা জানান।

গত সপ্তাহেই তিনি শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট, জি সেভেন গ্রুপে রাশিয়াকে পুনরায় অন্তর্ভুক্তির পক্ষে সমর্থন দেন। ক্রাইমিয়াকে সংযুক্ত করার পর ওই গ্রুপে রাশিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads