• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
নিজ দেশে সমালোচনার শিকার ট্রাম্প

তীব্র সমালোচনার শিকার হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

নিজ দেশে সমালোচনার শিকার ট্রাম্প

অস্বস্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৮ জুলাই ২০১৮

হেলসিঙ্কি বৈঠকে বক্তব্যের জেরে নিজ দেশেই তীব্র সমালোচনার শিকার হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ প্রশ্নে রাশিয়ার পক্ষে মন্তব্য করায় ট্রাম্প সমালোচনার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় ট্রাম্প নিজ দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমালোচনা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের কোনো কারণ নেই, এমন মন্তব্যও তিনি করেন। অথচ মাত্র দুই দিন আগেই দেশটির বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুলার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের কারণে ১২ রুশ গোয়েন্দাকে অভিযুক্ত করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় রিপাবলিকান হাউজ স্পিকার পল রায়ান ট্রাম্প বলেন, ট্রাম্পের অবশ্যই জানা উচিত রাশিয়া আমাদের মিত্র নয়। রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নৈতিক কোনো সামঞ্জস্যতা নেই। আদর্শিক এবং নীতিগত সব ক্ষেত্রেই আমাদের মধ্যে বৈরিতা রয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানও সমালোচনা করেছেন। এক বিবৃতিতে ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স প্রধান ড্যান কোটন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে খাটো করার জন্য রাশিয়া দায়ী।

গত সোমবার ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও সংবাদ সম্মেলনে উভয় নেতাই বিস্তারিত কিছু বলেননি। সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থাকে বিশ্বাস করেন নাকি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে। প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন রাশিয়া ওই কাজ করেনি। তারা এমন কাজ করবে এর কোনো কারণ আমি দেখতে পাই না।’ যদিও সংবাদ সম্মেলন পরবর্তী সময়ে এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আগের মতো এখনো বলছি, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার ওপর আমার গভীর আস্থা রয়েছে। যদিও এটা অনুধাবন করতে হবে যে, সামনে এগিয়ে যেতে হলে পেছনের দিকে কম নজর দিতে হবে। বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর দুই দেশকে অবশ্যই একত্রে কাজ করতে হবে।’

অপর সিনেটর জন ম্যাককেইন ট্রাম্পের আচরণকে অসম্মানজনক বলে অভিহিত করেন। সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সদস্য লিন্ডসে গ্রাহামের মতে, ট্রাম্প রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ হারিয়েছেন। এমনকি সাবেক সিআইএন প্রধান জন ব্রেনান ট্রাম্পের সংবাদ সম্মেলনকে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক বলে মনে করেন। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ট্রাম্পের প্রশংসা করেন।

বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, রুশ গোয়েন্দাদের কাছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কোনো স্পর্শকাতর বিষয় নেই, যা দিয়ে ব্ল্যাকমেইলের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ট্রাম্প রাশিয়ার কাছে একজন ধনী ব্যবসায়ী হিসেবেই ছিলেন।

বিশ্লেষকদের মতে, সফল হেলসিঙ্কি সম্মেলনের কারণে ইউরোজোনে সংশয় শুরু হয়েছে। ন্যাটোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে নতুন কোনো জোটের সূচনা করলে ইউরোপে ন্যাটোর উপস্থিতি হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এদিকে বৈঠক চলাকালীন সময়েই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ২৯ বছর বয়সী এক রুশ নারীকে গ্রেফতার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জানা যায়, মারিয়া বুটিনা নামের ওই নারী রিপাবলিকান পার্টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads