• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
‘আমরা সন্ত্রাসবাদীদের টিপস দিই না’

ওয়েটার খালিল সাভিল

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

‘আমরা সন্ত্রাসবাদীদের টিপস দিই না’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২০ জুলাই ২০১৮

রেস্তোরা থেকে খেয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন খদ্দের। রেখে যাওয়া টিপস নিতে নির্দিষ্ট টেবিলে গেলেন ওয়েটার খালিল সাভিল। দেখলেন, বিলে লেখা তার নামের জায়গাটি কলমের কালিতে গোল করে দাগ দেওয়া। পাশে লেখা রয়েছে, ‘আমরা সন্ত্রাসবাদীদের টিপস দিই না।’

চমকে ওঠেন খালিল! শনিবারের এই ঘটনার কথা নিজেই ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তিনি। লিখেছেন, কর্মজীবনে কখনো এ রকম বিদ্বেষের শিকার হননি তিনি। আমেরিকার টেক্সাসে বর্ণবিদ্বেষের এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।

শনিবার রাতে রেস্তোরার টেবিলে রাখা বিলটি দেখে রীতিমতো চুপ করে গিয়েছিলেন খালিল। ভাবতে পারেননি, তার নাম কিংবা চেহারার কারণে কেউ এ ধরনের মন্তব্য বিলে লিখে রাখতে পারে। ফেসবুকে তিনি এই গোটা ঘটনাটি লেখার পর সেটা ১৯ হাজার শেয়ার করেন নেটিজেনরা। তীব্র নিন্দা করেন এই ঘটনার। ৮ হাজার জন মন্তব্যও করেন খালিলের সমর্থনে।

এই ঘটনার পরেই তার রেস্তোরায় বর্ণবিদ্বেষী ব্যক্তিদের ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ওই রেস্তোরার মালিক। স্পষ্ট ভাবে তিনি জানিয়েছেন, রেস্তোরা কর্মীদের পাশেই রয়েছেন।

‘আমি খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসী’— এ কথা তার ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট ভাবেই লিখেছেন খালিল। তার কথায়, ‘আমি একজন কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ। খালিল নামে আমার বাবার এক বন্ধু দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন। বন্ধুকে মনে রেখেই তিনি আমার নাম খালিল রাখেন। কারণ আরবি ভাষায় খালিল শব্দের অর্থ বন্ধু।’

খালিলের টিপস হিসাবে অর্থ সংগ্রহ করা শুরু হয় ফেসবুকে। যদিও খালিল উল্লেখ করেন, ‘টিপস’ সংগ্রহ করার কোনো উদ্দেশ্যই তার নেই। বর্ণ-ধর্ম— যেকোনো রকম বিদ্বেষের বিরোধিতা করেন তিনি।

ডালাসের ব্যপ্টিস্ট ইউনিভার্সিটিতে কিছুদিনের মধ্যেই থিওলজি নিয়ে পড়তে যাচ্ছেন খালিল। একান্ত ধর্মপ্রাণ হলেও ধর্মের সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন খালিল। বিদ্বেষমূলক কোনো মনোভাবকে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই বদল ঘটানো সম্ভব বলে উল্লেখ করেন খালিল। রেস্তোরার মালিক-সহ প্রত্যেকে তার পাশে থাকায় অত্যন্ত খুশি তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads