• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
কিউবার সংবিধানে সাম্যবাদ বাদ দিয়ে সমাজতন্ত্র যুক্ত

খসড়ায় ব্যক্তিগত সম্পত্তিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

কিউবার সংবিধানে সাম্যবাদ বাদ দিয়ে সমাজতন্ত্র যুক্ত

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৩ জুলাই ২০১৮

কিউবার নতুন সংবিধানের খসড়ায় ‘সাম্যবাদ নির্মাণের’ লক্ষ্য বাদ দিয়ে সমাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বদলে যাওয়া সময়ের কথা বিবেচনায় নিয়ে দেশটির সংবিধানে ব্যক্তিগত সম্পত্তির স্বীকৃতি ও সমকামী বিয়ের দ্বার উন্মোচনের প্রস্তাব করা হয়েছে। খবর ডয়েচে ভেলে।

ডয়েচে ভেলের খবর বলছে, কিউবার ১৯৭৬ সালের সংবিধানে চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে সাম্যবাদী সমাজ নির্মাণের যে ধারাটি রাখা হয়েছিল, প্রস্তাবিত খসড়ায় সেটি বাদ দিয়ে কেবল সমাজতন্ত্রের ওপর মনোযোগ নিবদ্ধ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত লক্ষ্য ও শাসনতান্ত্রিক কাঠামোর সামান্য পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হলেও খসড়ায় কমিউনিস্ট পার্টি নেতৃত্বাধীন একদলীয় ব্যবস্থা বজায় রাখার কথাই বলা হয়েছে।

গত শনিবার দেশটির কাউন্সিল অব স্টেটের সেক্রেটারি হোমেরা অ্যাকোস্তা সংবাদ সংম্মেলনে বলেন, খসড়ায় ব্যক্তিগত সম্পত্তিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে পরিষদ অনুমোদন করার পর খসড়াটির বিষয়ে জনগণের মতামত চাওয়া হবে। কোনো সংযোজন বা বিয়োজন প্রয়োজন হলে সেগুলো সম্পন্ন করার পর চূড়ান্ত প্রস্তাবনাটি গণভোটে যাবে।

দেশটির রাষ্ট্রপরিচালিত গণমাধ্যমে কিউবার জাতীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট এস্তেবান লাজো নতুন সংবিধানের খসড়া নিয়ে বলেন, এর অর্থ এই নয়, আমরা আমাদের আদর্শ পরিত্যাগ করছি। আমরা একটি সমাজতান্ত্রিক, সার্বভৌম, স্বাধীন, সমৃদ্ধ ও টেকসই দেশে বিশ্বাস করি। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে কিউবার অর্থনীতিতে ভিন্ন অবস্থা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ পরিবর্তনের ফলে দেশটিতে বেসরকারি পর্যায়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও বিদেশি বিনিয়োগ বিকশিত হবে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। কিউবার এখনকার সংবিধানে কেবল রাষ্ট্রীয়, সমবায়, কৃষি, ব্যক্তিগত ও যৌথ উদ্যোগের সম্পত্তির স্বীকৃতি আছে।

নতুন সংবিধানের খসড়ায় কাউন্সিল অব স্টেট এবং কাউন্সিল অব মিনিস্টারের প্রধানের পদ থেকে প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এতে জাতীয় পরিষদের প্রেসিডেন্টকেই কিউবার সর্বোচ্চ নির্বাহী পরিষদ কাউন্সিল অব স্টেটের প্রধান বানাতে বলা হয়েছে। এতে প্রেসিডেন্টের বয়স ও মেয়াদের পরিমাণ নিয়েও নতুন প্রস্তাব আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রথমবার দায়িত্ব নেওয়ার সময় প্রেসিডেন্টের বয়স অবশ্যই ৬০-এর নিচে থাকতে হবে; টানা দুই মেয়াদে দশ বছরের বেশি দায়িত্ব পালনেরও সুযোগ মিলবে না। এ ছাড়া শনিবারের জাতীয় পরিষদের আলোচনায় খসড়া সংবিধানে বিয়ের ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রীর সংজ্ঞায়নের বদলে দুই স্বতন্ত্র ব্যক্তির মধ্যে গাঁটছড়া বাঁধার স্বীকৃতি নিয়েও আলোচনার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads